ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছে- পুতিন

ছবি সংগ্রহীত

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ও চীন কোনো ধরনের সামরিক জোট গড়ছে না, তবে আমরা একে অপরকে সামরিক সহযোগিতা করছি মাত্র। রোববার (২৬ মার্চ) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলতে শোনা যায় তাকে।

সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে কোনো সামরিক জোট গড়ে তুলছি না। তবে হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে সামরিক-প্রকৌশল খাতে পারষ্পারিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সেটা আমরা লুকানোর চেষ্টা করছি না। সবই স্বচ্ছ্, গোপন নয়।এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে একাধিক বৈশ্বিক জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর বিরুদ্ধে নতুন ‘অক্ষশক্তি’ গড়ে তোলার চেষ্টারও অভিযোগ তোলেন।পুতিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্লেষকরা এখন ১৯৩০ এর দশকে ফ্যাসিস্ট জার্মানি, ইতালি ও সামরিকবাদী জাপানের মতো করে নতুন একটি অক্ষশক্তি বানানো নিয়ে কথা বলছেন। তাছাড়া, তিনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াকেও এ শ্রেণিতে ফেলেছেন। এর পাশাপাশি পুতিন এ বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্য ও জাপানের মধ্যে সই হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত সপ্তাহে মস্কোতে এক দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সেখানে তারা নিজেদের মধ্যকার বন্ধুত্বের বিষয়টি খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছেন। সম্মেলনে পুতিন ও শি দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও ঘনিষ্ঠ করার অঙ্গীকার করেছেন।বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে আক্রমনাত্মক পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক আত্মরক্ষা হিসেবে চিত্রিত করেছেন পুতিন। ঠিক যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মান বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল মস্কো।

তবে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা এ ধরনের ব্যাখ্যাকে অযৌক্তিক দাবি করে প্রত্যাখ্যান করে করেছে। তারা বলছে, মস্কো ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাভাবিক ক্ষমতাকে পঙ্গু করতে চাইছে।এদিকে, চীনের শান্তি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার তার সব সৈন্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ ধরনের কোনো আলোচনা হতে পারে না। অন্যদিকে, ইউক্রেন মস্কোর দাবি করা ভূখণ্ডে যেসব ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছে- পুতিন

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ও চীন কোনো ধরনের সামরিক জোট গড়ছে না, তবে আমরা একে অপরকে সামরিক সহযোগিতা করছি মাত্র। রোববার (২৬ মার্চ) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলতে শোনা যায় তাকে।

সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে কোনো সামরিক জোট গড়ে তুলছি না। তবে হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে সামরিক-প্রকৌশল খাতে পারষ্পারিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সেটা আমরা লুকানোর চেষ্টা করছি না। সবই স্বচ্ছ্, গোপন নয়।এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে একাধিক বৈশ্বিক জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর বিরুদ্ধে নতুন ‘অক্ষশক্তি’ গড়ে তোলার চেষ্টারও অভিযোগ তোলেন।পুতিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্লেষকরা এখন ১৯৩০ এর দশকে ফ্যাসিস্ট জার্মানি, ইতালি ও সামরিকবাদী জাপানের মতো করে নতুন একটি অক্ষশক্তি বানানো নিয়ে কথা বলছেন। তাছাড়া, তিনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াকেও এ শ্রেণিতে ফেলেছেন। এর পাশাপাশি পুতিন এ বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্য ও জাপানের মধ্যে সই হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত সপ্তাহে মস্কোতে এক দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সেখানে তারা নিজেদের মধ্যকার বন্ধুত্বের বিষয়টি খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছেন। সম্মেলনে পুতিন ও শি দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও ঘনিষ্ঠ করার অঙ্গীকার করেছেন।বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে আক্রমনাত্মক পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক আত্মরক্ষা হিসেবে চিত্রিত করেছেন পুতিন। ঠিক যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মান বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল মস্কো।

তবে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা এ ধরনের ব্যাখ্যাকে অযৌক্তিক দাবি করে প্রত্যাখ্যান করে করেছে। তারা বলছে, মস্কো ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাভাবিক ক্ষমতাকে পঙ্গু করতে চাইছে।এদিকে, চীনের শান্তি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার তার সব সৈন্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ ধরনের কোনো আলোচনা হতে পারে না। অন্যদিকে, ইউক্রেন মস্কোর দাবি করা ভূখণ্ডে যেসব ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।