বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ইমেইল সার্ভার হ্যাকারদের কবলে পড়েছে। কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে হ্যাকাররা ৫০ লাখ ডলার দাবি করেছে বিমানের কাছে। এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলছেন, হ্যাকিংয়ে বিমানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। বিমানের সার্ভার হ্যাক করে টাকা দাবির খবর সত্য নয়।
রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। অ্যাটাক হয়েছে এটাই একটা ক্ষতি। টাকা দাবি করার মতো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারা তেমন কোনও তথ্যও নিতে পারেনি। হ্যাক্যাররা ফায়ার ওয়ালের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। যে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার নেওয়া হয়েছে। জিডি করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনা আমাদের নলেজে আসার পর মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আইন অনুযায়ী ডিজিটাল সিকিউরিটি বিভাগকে জানিয়েছি। তাদের টিম পরিদর্শন করেছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে আমরা কাজ করবো। আমাদের অপারেশনে সমস্যা হয়নি। আজও আমাদের কাজ চলছে। আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে তেমন সতর্ক করা হয়নি বলেও জানান বিমান এমডি।
২৩ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানিয়েছে, রাষ্ট্রয়াত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কিছু সংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু রাখা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, ১৮ মার্চ বিমানের কিছু সংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই দিন সন্দেহযুক্ত সার্ভারটিকে আইসোলেটেড করে রাখা হয়। ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে।
তাহেরা খন্দকার জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, ধারা-১৫ অনুসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো এর অধীনে তফসিলভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির কারিগরি দিক নির্দেশনায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।