ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজার শুরুতেই শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের ভীড়

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৭০ বার পড়া হয়েছে

ছবিঃ সংগ্রহীত

ঈদের এখনো প্রায় এক মাস বাকি। এর মধ্যেই রাজধানীর মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ঈদকেন্দ্রিক কেনাবেচা। প্রতিদিনই ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠছে অধিকাংশ বিপণিকেন্দ্র। দোকানে দোকানে ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনছেন অনেকে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরাও বাহারি পোশাকে দোকান সাজিয়েছেন। গত দু-তিন বছরের করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে এবার ঈদ ঘিরে ব্যবসায় লাভের আশা ব্যবসায়ীদের। ভালো বিক্রির আশায় নতুন বিনিয়োগও করেছেন অনেকে। রমজানের শুরু থেকে মার্কেটে ক্রেতার দেখা পেয়ে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকেই ব্যবসায় এক ধরনের মন্দা চলছে। ২০২০ সালে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাবে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় মানুষ তখন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি। অনেকে ঈদের কেনাকাটাও করেননি। ব্যবসায়ীরাও দোকান খোলার খুব একটা সুযোগ পাননি। ২০২১ সালেও ব্যবসায়ীদের মন্দা কাটেনি। সে বছরও করোনার প্রকোপে ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে কোনো উত্তাপ ছিল না। অনেকটা ঘরবন্দি অবস্থায় ঈদ কেটেছে মানুষের। টানা দুই বছর ব্যবসায় লোকসান গুনে অনেকের পুঁজিতেও টান পড়ে।গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যবসায় সুদিন ফেরেনি। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে মার্কেট, শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট খোলা রাখার ক্ষেত্রে সরকার সময় বেঁধে দেয়। তার ওপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় ও বিশ্ববাজারে হু হু করে দাম বাড়তে থাকে জিনিসপত্রের। যা খুব দ্রুত অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায়। ফলে টানা তিন বছর বলতে গেলে লাভের মুখ দেখা হয়নি ব্যবসায়ীদের। তবে ২০২০ ও ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনা মোটামুটি ভালো ছিল।ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, গত বছরের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি ভালো। বিদ্যুতের সমস্যাও তেমন নেই। মানুষের চলাচলেও নেই কড়াকড়ি। সবকিছু চলছে স্বাভাবিকভাবে। এ কারণে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ভালো ব্যবসার আশা তাদের। এমনকি গত দু-তিন বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার কথাও বলছেন অনেকে। সেই আশায় অনেক ব্যবসায়ী ঈদকেন্দ্রিক নতুন বিনিয়োগ করেছেন। ক্রেতারাও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। রমজানের শুরু থেকেই জমজমাট হয়ে উঠছে বিপণিকেন্দ্রগুলো।

সাধারণত রমজানের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১০-১৫ রোজার পর ঈদের মূলক কেনাবেচা শুরু হয়। এবার সে চিত্র ভিন্ন। রমজানের একেবারে শুরু থেকে মার্কেটে আসছেন ক্রেতারা। এ অবস্থায় ঈদকেন্দ্রিক ভালো ব্যবসা করে বিগত বছরগুলোর ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে চান ব্যবসায়ীরা।ক্রেতা উপস্থিতিতে বিক্রেতারা খুশি হলেও পণ্যের বাড়তি দাম নিয়ে রয়েছে অভিযোগ। ক্রেতাদের অনেকে বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি। দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন, এখন সবকিছুর দাম বাড়তি। পোশাক তৈরি ও আমদানিতে খরচ বেড়েছে। এ কারণে দামও কিছুটা বাড়তি।

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মার্কেটটি। ক্রেতারা একটার পর একটা দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাক খুঁজছেন। দোকানিরা ব্যস্ত ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক বাছাই করে দিতে। পছন্দ ও দামে মিলে গেলে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পোশাক। মার্কেটটির প্রতিটি দোকানেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়।

 

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজার শুরুতেই শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের ভীড়

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

ঈদের এখনো প্রায় এক মাস বাকি। এর মধ্যেই রাজধানীর মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ঈদকেন্দ্রিক কেনাবেচা। প্রতিদিনই ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠছে অধিকাংশ বিপণিকেন্দ্র। দোকানে দোকানে ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনছেন অনেকে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরাও বাহারি পোশাকে দোকান সাজিয়েছেন। গত দু-তিন বছরের করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে এবার ঈদ ঘিরে ব্যবসায় লাভের আশা ব্যবসায়ীদের। ভালো বিক্রির আশায় নতুন বিনিয়োগও করেছেন অনেকে। রমজানের শুরু থেকে মার্কেটে ক্রেতার দেখা পেয়ে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকেই ব্যবসায় এক ধরনের মন্দা চলছে। ২০২০ সালে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাবে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় মানুষ তখন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি। অনেকে ঈদের কেনাকাটাও করেননি। ব্যবসায়ীরাও দোকান খোলার খুব একটা সুযোগ পাননি। ২০২১ সালেও ব্যবসায়ীদের মন্দা কাটেনি। সে বছরও করোনার প্রকোপে ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে কোনো উত্তাপ ছিল না। অনেকটা ঘরবন্দি অবস্থায় ঈদ কেটেছে মানুষের। টানা দুই বছর ব্যবসায় লোকসান গুনে অনেকের পুঁজিতেও টান পড়ে।গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যবসায় সুদিন ফেরেনি। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে মার্কেট, শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট খোলা রাখার ক্ষেত্রে সরকার সময় বেঁধে দেয়। তার ওপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় ও বিশ্ববাজারে হু হু করে দাম বাড়তে থাকে জিনিসপত্রের। যা খুব দ্রুত অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায়। ফলে টানা তিন বছর বলতে গেলে লাভের মুখ দেখা হয়নি ব্যবসায়ীদের। তবে ২০২০ ও ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনা মোটামুটি ভালো ছিল।ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, গত বছরের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি ভালো। বিদ্যুতের সমস্যাও তেমন নেই। মানুষের চলাচলেও নেই কড়াকড়ি। সবকিছু চলছে স্বাভাবিকভাবে। এ কারণে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ভালো ব্যবসার আশা তাদের। এমনকি গত দু-তিন বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার কথাও বলছেন অনেকে। সেই আশায় অনেক ব্যবসায়ী ঈদকেন্দ্রিক নতুন বিনিয়োগ করেছেন। ক্রেতারাও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। রমজানের শুরু থেকেই জমজমাট হয়ে উঠছে বিপণিকেন্দ্রগুলো।

সাধারণত রমজানের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১০-১৫ রোজার পর ঈদের মূলক কেনাবেচা শুরু হয়। এবার সে চিত্র ভিন্ন। রমজানের একেবারে শুরু থেকে মার্কেটে আসছেন ক্রেতারা। এ অবস্থায় ঈদকেন্দ্রিক ভালো ব্যবসা করে বিগত বছরগুলোর ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে চান ব্যবসায়ীরা।ক্রেতা উপস্থিতিতে বিক্রেতারা খুশি হলেও পণ্যের বাড়তি দাম নিয়ে রয়েছে অভিযোগ। ক্রেতাদের অনেকে বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি। দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন, এখন সবকিছুর দাম বাড়তি। পোশাক তৈরি ও আমদানিতে খরচ বেড়েছে। এ কারণে দামও কিছুটা বাড়তি।

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মার্কেটটি। ক্রেতারা একটার পর একটা দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাক খুঁজছেন। দোকানিরা ব্যস্ত ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক বাছাই করে দিতে। পছন্দ ও দামে মিলে গেলে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পোশাক। মার্কেটটির প্রতিটি দোকানেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়।