ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংশোধন হচ্ছে মোটরসাইকেল নীতিমালা

ছবিঃ সংগ্রহীত

দেশের সড়ক-মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হচ্ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, যার জন্য দায়ী করা হয় যানটির বেপরোয়া গতিকে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি উদ্দেশ্য নিয়ে ‘খসড়া মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা’ তৈরি করা হয়। এই নীতিমালা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসন্তোষ জানানোর পর তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা, মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ (স্পোর্টির বদলে স্কুটি) মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা এবং মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোতে নীতিমালাটি করা হয়। এতে শহরের মধ্যে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার করা, মহাসড়কে মোটরসাইকেলে আরোহী বহন না করা এবং ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের নিচে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করাসহ এতে আরও বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে।এ নিয়ে মোটরসাইকেল-চালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতিবাদের মধ্যেই নীতিমালা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২১ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সড়কে যেমন গাড়ি চলে, তেমনি মোটরসাইকেলও চলাচল করে থাকে। এই বাহনে করে মানুষ দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। ফলে মোটরসাইকেলের গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলে চালকদের নিরুৎসাহিত করা হবে।’ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালাটি সংশোধনের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এই বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি খসড়া নীতিমালাটি তৈরি করে। এতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর ও পুলিশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

কমিটির একাধিক সদস্য শনিবার (২৫ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, খসড়া নীতিমালা তৈরি করতে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা সে অনুযায়ী খসড়াটি প্রস্তুত করেছেন। নিয়মমাফিক ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। পাবলিকলি ওপেন হওয়ার পর যেসব মতামত আসবে, তা বিবেচনায় নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত হতে সময় লাগবে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সংশোধন হচ্ছে মোটরসাইকেল নীতিমালা

আপডেট সময় : ০৬:১৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

দেশের সড়ক-মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হচ্ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, যার জন্য দায়ী করা হয় যানটির বেপরোয়া গতিকে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি উদ্দেশ্য নিয়ে ‘খসড়া মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা’ তৈরি করা হয়। এই নীতিমালা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসন্তোষ জানানোর পর তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা, মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ (স্পোর্টির বদলে স্কুটি) মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা এবং মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোতে নীতিমালাটি করা হয়। এতে শহরের মধ্যে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার করা, মহাসড়কে মোটরসাইকেলে আরোহী বহন না করা এবং ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের নিচে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করাসহ এতে আরও বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে।এ নিয়ে মোটরসাইকেল-চালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতিবাদের মধ্যেই নীতিমালা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২১ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সড়কে যেমন গাড়ি চলে, তেমনি মোটরসাইকেলও চলাচল করে থাকে। এই বাহনে করে মানুষ দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। ফলে মোটরসাইকেলের গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলে চালকদের নিরুৎসাহিত করা হবে।’ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালাটি সংশোধনের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এই বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি খসড়া নীতিমালাটি তৈরি করে। এতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর ও পুলিশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

কমিটির একাধিক সদস্য শনিবার (২৫ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, খসড়া নীতিমালা তৈরি করতে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা সে অনুযায়ী খসড়াটি প্রস্তুত করেছেন। নিয়মমাফিক ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। পাবলিকলি ওপেন হওয়ার পর যেসব মতামত আসবে, তা বিবেচনায় নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত হতে সময় লাগবে।