ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে সব পক্ষ উপকৃত হবে : তথ্যমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৬৪ বার পড়া হয়েছে

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবে। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছতর ছবি পাবে, অপারেটররা ব্যবসার ঠিক হিসাব এবং সরকার ঠিক রাজস্ব পাবে।
একইসাথে এ জন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

দেশের ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের পথিকৃৎ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এক একটি এলাকা বন্টন করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ার শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশী-বিদেশী সকল চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশী চ্যানেল দেখা যাবে।

সম্প্রচারমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন প্রায় ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরো আসছে। এটি না হলে আজ কেউ টিভি চ্যানেল মালিক বা ক্যাবল অপারেটর থাকতেন না। সুতরাং যার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, যার কারণে এই শিল্পের বিকাশ, তার নেতৃত্বে এই অগ্রযাত্রা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবনায় রাখার অনুরোধ জানাই।’

হাছান মাহমুদ এ সময় কয়েক দশক ধরে টিভি চ্যানেলগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ক্যাবল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। আইনানুসারে বিদেশী চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার ও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক রাখার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।

কোয়াব নেতৃবৃন্দের উত্থাপিত দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ক্যাবল অপারেটররা  ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু করলে যেমন এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে, সেটি ওটিটি প্লাটফর্ম এবং অন্য সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এ সব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

কোয়াব সভাপতি এবিএম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহসভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক ও সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন। একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা  ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে সব পক্ষ উপকৃত হবে : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবে। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছতর ছবি পাবে, অপারেটররা ব্যবসার ঠিক হিসাব এবং সরকার ঠিক রাজস্ব পাবে।
একইসাথে এ জন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

দেশের ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের পথিকৃৎ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এক একটি এলাকা বন্টন করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ার শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশী-বিদেশী সকল চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশী চ্যানেল দেখা যাবে।

সম্প্রচারমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন প্রায় ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরো আসছে। এটি না হলে আজ কেউ টিভি চ্যানেল মালিক বা ক্যাবল অপারেটর থাকতেন না। সুতরাং যার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, যার কারণে এই শিল্পের বিকাশ, তার নেতৃত্বে এই অগ্রযাত্রা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবনায় রাখার অনুরোধ জানাই।’

হাছান মাহমুদ এ সময় কয়েক দশক ধরে টিভি চ্যানেলগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ক্যাবল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। আইনানুসারে বিদেশী চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার ও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক রাখার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।

কোয়াব নেতৃবৃন্দের উত্থাপিত দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ক্যাবল অপারেটররা  ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু করলে যেমন এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে, সেটি ওটিটি প্লাটফর্ম এবং অন্য সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এ সব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

কোয়াব সভাপতি এবিএম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহসভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক ও সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন। একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা  ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।