
ফুটবলের সর্বকালের সেরা কে–এই প্রশ্নে দীর্ঘদিন পেলে ও ম্যারাডোনার নাম উচ্চারিত হলেও অনুচ্চস্বরে মেসির নামটাও উঠত প্রায়ই। তবে কাতার বিশ্বকাপের পর বদলে গেছে পরিস্থিতি। তাই পেলে-ম্যারাডোনার সঙ্গে একই বন্ধনীতে মেসির নামটাও। তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিই যেন দিল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন (কনমেবল)। পেলে ও ম্যারাডোনার ভাস্কর্যের পাশে ঠাঁই পেল মেসির ভাস্কর্যও।
প্যারাগুয়ের লুক শহরে কনমেবলের সদর দফতরে সোমবারের (২৮ মার্চ) ঘটনা। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন দুই মেসি। মুখে তার হাসি, হাতে বিশ্বকাপ। না, মেসির যমজ কেউ নেই। আসল মেসির পাশে হুবহু একই রূপে দাঁড়িয়ে মেসির ভাস্কর্য। কনমেবলের সদর দফতরের জাদুঘরে স্থান পেয়েছে বিশ্বকাপ হাতে মেসির ভাস্কর্য। জাদুঘরে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দুই আইকন পেলে ও ম্যারাডোনার ভাস্কর্যের পাশেই থাকবে মেসির এই ভাস্কর্য।
কাতারে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপের শিরোপা। ২০১৪ সালে ফাইনালে জার্মানিকে হারাতে না পারলেও কাতারে ফ্রান্সের বিপক্ষে জোড়া গোল করে জয় এনে দিয়েছেন আলবিসেলেস্তেদের। গোটা টুর্নামেন্টে ৭ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন গোল্ডেন বল। তার এমন পারফরম্যান্সের পর পেলে-ম্যারাডোনার সঙ্গেই উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম।অনেকের মতে তো মেসি ছাড়িয়ে গেছেন দুই পূর্বসূরিকেও। কনমেবলের এই উদ্যোগ তো মেসির শ্রেষ্ঠত্বেরই স্বীকৃতি।
ক্যারিয়ারের দিকে চেয়ে ৩৫ বছর বয়সী মহাতারকা বলেন, জীবন তাকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি বা ভাবতে পারিনি। আমার স্বপ্ন ছিল পছন্দের কাজটি (ফুটবল খেলা) স্রেফ উপভোগ করা এবং যখন ছোট ছিলাম, চাওয়া ছিল পেশাদার ফুটবলার হওয়া, জীবনে যেটিকে ভালোবেসেছি, সেটিকেই পেশা হিসেবে নেয়া।’
ভাস্কর্য উন্মোচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আবেগাপ্লুত মেসি ফিরে চাইলেন পেছনে ফেলে আসা সময়কে। গোটা
গোটা ক্যারিয়ারের দিকে চেয়ে ৩৫ বছর বয়সী মহাতারকা বলেন, জীবন তাকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি বা ভাবতে পারিনি। আমার স্বপ্ন ছিল পছন্দের কাজটি (ফুটবল খেলা) স্রেফ উপভোগ করা এবং যখন ছোট ছিলাম, চাওয়া ছিল পেশাদার ফুটবলার হওয়া, জীবনে যেটিকে ভালোবেসেছি, সেটিকেই পেশা হিসেবে নেয়া।’
তবে পথটা যে সবসময় মসৃণ ছিল না, তা-ও জানালেন তিনি। স্বপ্নকে তাড়া করে চলাতেই সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ‘অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।’
মেসি ছাড়াও সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনা দলে মেসির সতীর্থরা ও কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। সেখানে তাদের হাতে বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জয়ের স্মারক ট্রফি তুলে দেয়া হয়।