বোরো ধানের সবুজ রঙের চাদর বিছানো এখন জয়পুরহাটের মাঠ-ঘাট। বর্তমানে বোরো’র উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলার কৃষকরা বোরো ধানের লাগানো চারা গুলোর নিবিড় পরিচর্যা করছেন কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২২-২০২৩ নিবিড় বার্ষিক ফসল চাষ মৌসুমে জেলায় এবার ৬৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬১ হাজার ৯শ’ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। এতে বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৬ মে.টন। উপজেলা ভিত্তিক বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৮১০ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ১৯ হাজার ৯৯৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১০ হাজার ৩৫০ হেক্টর, ক্ষেতলালে ১০ হাজার ৫শ’ হেক্টর এবং কালাই উপজেলায় ১২ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে। বোরো চাষ সফল করতে উচ্চ ফলন শীল (উফশী) জাতের ৩ হাজার ৩৭৮ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৪০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয় স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্বাবধানে ।
জেলায় বোরো ধান চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সারের চাহিদা ও মজুদ নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ২০ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন, টিএসপি ১৪ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন, এমওপি ৯ হাজার ৫৭৬ মেট্রিক টন, জিপসাম ৯ হাজার মেট্রিক টন ও জিংক সার ৭৯২ মেট্রিক টন। বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। বে-সরকারি সংস্থা গুলোর পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংক বিশেষ করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বোরো চাষ সফল করতে কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণের ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জেলায় বোরো চাষ সফল করতে ক্ষেতে মালচিং পদ্ধতির ব্যবহার করাসহ কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বাসস’কে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোছা: রাহেলা পারভীন।