ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ উপাখ্যান

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ উপাখ্যানের দ্বিতীয় (২) পর্বঃ

নেপালের ৩য়, সার্কিট এর ২য় অথবা ট্রেকিং এর ১ম দিন
নাদি – জাগাৎ
সকালে (আসলে ভোর)৬ টায় যাত্রা শুরু। খুব উইন্ডচিটার পরে, গলায় মাথায় বান্ডানা পেঁচায় রওনা দিলাম। ৩০ মিনিট এর মাথায় প্রথমে উইন্ডচিটার, ঘন্টাখানেক এর মাথায় বান্ডানা খুলে ব্যাগ এ ঝুলায় হাঁটা দিলাম। ঘন্টাখানেক এর মাথায় জীবনের প্রথম সাদা পাহাড় দর্শন !!! (গেবন হয় সুন্দর) হা হা হা এরপর একটানা হাঁটা।

আমার ম্যাপ দেখাচ্ছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর ২ টা (কোনো ব্রেক ছাড়া). তো মেলা পথ বাকি কান্ডারী। এরমাঝে ১বার পথ মিলাতে না পেরে ২০-২৫ মিনিট একই জায়গায় ঘুরপাক খেলাম। পুরো রাস্তায় আমি ছিলাম একা। মাঝে মধ্যে কিছু লোকাল মানুষ। কিন্তু একবারের জন্য মনে হয় নাই একা হাঁটছি, পু্রোটা সময় নদীটা আমাকে সঙ্গ দিয়ে গেছে।কখনো স্রোতের, কখনো তার সৌন্দর্যের। এই সৌন্দর্যের বর্ণনা কবি ছাড়া করা সম্ভব না, হয়তো সে ও পুরাটা পারবে না।

হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিলো কেবল যখন দেখছিলাম রাস্তা নিচে নেমে গেছে। এটা দেখে শ্রদ্ধেয় মমতাজ অপর গানটাই কানে বাড়ি দিছিল “ফাইট্টা যায়, বুকটা ফাইট্টা যায়”. এই নামার পরে আবার যে দ্বিগুণ উঠতে হবে। আমার যে কি হবে কান্ডারী !

যাইহোক একটু একটু করে ঠিকই জাগাৎ পৌঁছে গেলাম ১২:৪৫ এ। এরপর উঠে পড়লাম গ্রেট টিবের লজ এ। কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে একটু এদিক সেদিক ঘুরতে গিয়ে একটা জায়গা বেশ মনের মত হয়ে গেল। সেখানেই বসে বসে বিকাল পর। রাতে খাবার শেষ। আবার ভোর বেলা রওনা। চলবে…

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ উপাখ্যান

আপডেট সময় : ১১:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ উপাখ্যানের দ্বিতীয় (২) পর্বঃ

নেপালের ৩য়, সার্কিট এর ২য় অথবা ট্রেকিং এর ১ম দিন
নাদি – জাগাৎ
সকালে (আসলে ভোর)৬ টায় যাত্রা শুরু। খুব উইন্ডচিটার পরে, গলায় মাথায় বান্ডানা পেঁচায় রওনা দিলাম। ৩০ মিনিট এর মাথায় প্রথমে উইন্ডচিটার, ঘন্টাখানেক এর মাথায় বান্ডানা খুলে ব্যাগ এ ঝুলায় হাঁটা দিলাম। ঘন্টাখানেক এর মাথায় জীবনের প্রথম সাদা পাহাড় দর্শন !!! (গেবন হয় সুন্দর) হা হা হা এরপর একটানা হাঁটা।

আমার ম্যাপ দেখাচ্ছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর ২ টা (কোনো ব্রেক ছাড়া). তো মেলা পথ বাকি কান্ডারী। এরমাঝে ১বার পথ মিলাতে না পেরে ২০-২৫ মিনিট একই জায়গায় ঘুরপাক খেলাম। পুরো রাস্তায় আমি ছিলাম একা। মাঝে মধ্যে কিছু লোকাল মানুষ। কিন্তু একবারের জন্য মনে হয় নাই একা হাঁটছি, পু্রোটা সময় নদীটা আমাকে সঙ্গ দিয়ে গেছে।কখনো স্রোতের, কখনো তার সৌন্দর্যের। এই সৌন্দর্যের বর্ণনা কবি ছাড়া করা সম্ভব না, হয়তো সে ও পুরাটা পারবে না।

হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিলো কেবল যখন দেখছিলাম রাস্তা নিচে নেমে গেছে। এটা দেখে শ্রদ্ধেয় মমতাজ অপর গানটাই কানে বাড়ি দিছিল “ফাইট্টা যায়, বুকটা ফাইট্টা যায়”. এই নামার পরে আবার যে দ্বিগুণ উঠতে হবে। আমার যে কি হবে কান্ডারী !

যাইহোক একটু একটু করে ঠিকই জাগাৎ পৌঁছে গেলাম ১২:৪৫ এ। এরপর উঠে পড়লাম গ্রেট টিবের লজ এ। কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে একটু এদিক সেদিক ঘুরতে গিয়ে একটা জায়গা বেশ মনের মত হয়ে গেল। সেখানেই বসে বসে বিকাল পর। রাতে খাবার শেষ। আবার ভোর বেলা রওনা। চলবে…