কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আরসার এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।এসময় ঘটনাস্থল থেকে১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।উভয় পক্ষের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।আহতদের উদ্ধার করে স্হানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেন।নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নিহত হলেন উখিয়ার ১৩নম্বর তাজনিমার খোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া(৩৪)।
মঙ্গলবার (১১এপ্রিল)উখিয়ার ১৯নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৮ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের(৪৫),মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে
জামাল হোসেন (২০),সলিম উল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী(২৫)।এদের কে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এপিবিএন-৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘিরে রাখার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্য অভিযানে যান। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী পাহাড়ের দিকে পালাতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের আশে-পাশের এলাকা থেকে আরসার ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ক্যাম্পের একটি ঘরের রুমে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। সেখানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি ছিল।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী মুঠোফোন রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।