কক্সবাজারের উখিয়ায় ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির একপর্যায়ে আরসার গুলিতে এক পথচারী মহিলা নিহত হয়।
এ সময় গুলিবিদ্ধ আরও একজন আরসার সন্ত্রাসীর লাশ পাওয়া যায়। তবে, ঘটনা স্থল থেকে অস্ত্র সহ একজন আরসা সদস্যকে আটক করেন, ৮ এপিবিএন পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে উখিয়ার থাইংখালী ময়নারঘোনা ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নূর হাবা (৫০) ক্যাম্প-১৮ এর এল/১৭ ব্লকের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের স্ত্রী এবং নিহত আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ হাসিম (৩২) বশির আহমেদের ছেলে।
এ ঘটনায় ২ জন পুলিশের সদস্য আহত হয় এবং সাদেক নামের একজন আরসা সন্ত্রাসীকে অস্ত্র সহ আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে, ৮ এপিবিএন পুলিশের
সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ এন্ড মিডিয়া) মো: ফারুক আহমেদ জানান, গুলাগুলির একপর্যায়ে পালানোর সময় একজন আরসা সন্ত্রাসী কে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ হাসিমের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশের ২ জন সদস্য আহত হয়েছে।
নিহত আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৮ এপিবিএন এর সহ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি ও ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উক্য সিং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে বলে জানান, ফারুক আহমেদ।