জাপানের রাজকীয় অতিথি ভবন আকাসাকা প্যালেসে ব্যস্ত দিন পার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে তার সঙ্গে জাইকা, জেট্রো ও দুই দেশের সংসদীয় ফোরামের প্রধান বৈঠক করেন। পরে জাপানের সম্রাটের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃষ্টিস্নাত সকাল দিয়ে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরের দ্বিতীয় দিন। তবে তার রাজকীয় অতিথিভবন আকাসাকা প্যালেসে কর্মব্যস্ততার ছিলো না কোন কমতি।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালীন আবাসে ছুটে আসেন জাপান-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নয়নের প্রধান ফুমিও কোকুবু। এত দিন ধরে দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নতুন মাত্রায় পৌঁছাতে অব্যাহত আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
পরে একইস্থানে সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার প্রধান। বাংলাদেশের জাইকার সহায়তা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার নানাদিক সরকারপ্রধানের কাছে তুলে ধরেন এই কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই আবাসে পরপর বৈঠক হয় জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন- জেট্রোর চেয়ার ড. ইসিগুরো নরিহিতো। জাপানের বাইরে বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ আগ্রহের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দারুন সব সুখবর বয়ে আনবে বাংলাদেশের জন্য। বিরাট সুযোগ চীন, মালয়েশিয়ার মত দেশের বদলে যাওয়ার।
জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সাকুরা সাবের বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে উন্নয়নের মাইল ফলক স্থাপন করেছেন এই মাইল ফলকের সাথে যদি জাপানি ইনভেস্টমেন্টের সম্পৃক্ততা বজায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের দেশ অনেক উন্নত হয়ে যাবে যা অকল্পনীয়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সামিট।
আগ থেকে আলোচনা ছিলো সরকারপ্রধানের এই সফর হচ্ছে বিনিয়োগ আর বাণিজ্যের সফর। বৃষ্টিস্নাত দ্বিতীয় দিনের সফরসূচি সেই ইঙ্গিতেরই যেন বাস্তব চিহ্ন। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, সরকারপ্রধানের এই সফরেই নিশ্চিত করতে হবে বিনিয়োগের সব সম্ভাব্য সুযোগ, যেখান থেকেই পরিকল্পনা নিতে হবে, বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য সকল বাঁধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কর্মসূচি।