ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরিষার ফলন বেড়েছে সাড়ে ১১ লাখ টন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • ১৬৯২ বার পড়া হয়েছে

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে সরিষার উৎপাদন হয়েছে ১১ লাখ ৫২ হাজার টন, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার টন। সে হিসেবে একবছরে সরিষার ফলন বেড়েছে শতকরা ৪০ ভাগ। আজ সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ শতাংশ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের যে উদ্যােগ সরকার নিয়েছে, সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি তার ফসল। এর অংশ হিসেবে এক বছরে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আবাদি জমির পরিমাণ বেড়েছে ২ লাখ হেক্টর।

এই পরিমাণ সরিষা থেকে বাড়তি ১ লাখ ২১ হাজার টন তেল বেশি উৎপাদিত হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য (প্রতি লিটার ২৫০ টাকা ধরে) প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার মাত্র ১২ শতাংশ। বাকি ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।

সে জন্য ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৩ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর আওতায়, ধানের উৎপাদন না কমিয়েই ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ টন তেল উৎপাদন করা হবে, যা চাহিদার ৪০ শতাংশ। এর ফলে তেল আমদানিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন বছরের মধ্যে সরিষা, তিল, বাদাম, সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ তেলজাতীয় ফসলের আবাদ তিনগুণ বৃদ্ধি করে বর্তমানের ৮ লাখ ৬০ হেক্টর জমি থেকে ২৩ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে উন্নীত করা হবে। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বর্তমানের ১২ লাখ টন থেকে ২৯ লাখ টনে এবং তেলের উৎপাদন বর্তমানের ৩ লাখ টন থেকে ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৩টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে-

* উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: বর্তমানে আবাদকৃত টরি-৭, মাঘী, ডুপিসহ স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল সরিষার জাত বিনা-৪, ৯, বারি ১৪, ১৭ প্রভৃতি জাত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

*অনাবাদি চরাঞ্চল, উপকূলের লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলকে তেলজাতীয় ফসল চাষের আওতায় আনা হচ্ছে।

*নতুন শস্যবিন্যাসে স্বল্প জীবনকালের ধানের চাষ করে রোপা আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষার চাষ করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, গত বছর সরিষা আবাদ হয়েছিল ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে, এ বছর হয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষার ফলন বেড়েছে সাড়ে ১১ লাখ টন

আপডেট সময় : ০৮:১৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে সরিষার উৎপাদন হয়েছে ১১ লাখ ৫২ হাজার টন, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার টন। সে হিসেবে একবছরে সরিষার ফলন বেড়েছে শতকরা ৪০ ভাগ। আজ সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ শতাংশ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের যে উদ্যােগ সরকার নিয়েছে, সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি তার ফসল। এর অংশ হিসেবে এক বছরে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আবাদি জমির পরিমাণ বেড়েছে ২ লাখ হেক্টর।

এই পরিমাণ সরিষা থেকে বাড়তি ১ লাখ ২১ হাজার টন তেল বেশি উৎপাদিত হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য (প্রতি লিটার ২৫০ টাকা ধরে) প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার মাত্র ১২ শতাংশ। বাকি ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।

সে জন্য ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৩ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর আওতায়, ধানের উৎপাদন না কমিয়েই ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ টন তেল উৎপাদন করা হবে, যা চাহিদার ৪০ শতাংশ। এর ফলে তেল আমদানিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন বছরের মধ্যে সরিষা, তিল, বাদাম, সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ তেলজাতীয় ফসলের আবাদ তিনগুণ বৃদ্ধি করে বর্তমানের ৮ লাখ ৬০ হেক্টর জমি থেকে ২৩ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে উন্নীত করা হবে। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বর্তমানের ১২ লাখ টন থেকে ২৯ লাখ টনে এবং তেলের উৎপাদন বর্তমানের ৩ লাখ টন থেকে ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৩টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে-

* উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: বর্তমানে আবাদকৃত টরি-৭, মাঘী, ডুপিসহ স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল সরিষার জাত বিনা-৪, ৯, বারি ১৪, ১৭ প্রভৃতি জাত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

*অনাবাদি চরাঞ্চল, উপকূলের লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলকে তেলজাতীয় ফসল চাষের আওতায় আনা হচ্ছে।

*নতুন শস্যবিন্যাসে স্বল্প জীবনকালের ধানের চাষ করে রোপা আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষার চাষ করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, গত বছর সরিষা আবাদ হয়েছিল ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে, এ বছর হয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে।