বগুড়ার সোনাতলায় এসএসসি পরীক্ষার এক কেন্দ্র থেকে হৃদয় আহম্মেদ (২৩) ভুয়া শিক্ষক আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালে সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদা পারভিন তাকে আটকের নির্দেশ দেন। এ সময় ওই কেন্দ্রের দুই শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা চলাকালীন সময় মুঠোফোন ব্যবহারের দায়ে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা সোনাতলা আব্দুল মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আফরিনা জাহান ও ভিকেনের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কুমারী শ্রাবন্তী রানী। এছাড়াও আটক ভুয়া শিক্ষক হৃদয় আহম্মেদ সোনাতলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের ছায়েদ মন্ডলের ছেলে।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মোনারুল ইসলাম। তিনি জানান, বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন হৃদয় নামের ওই যুবক নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। ইউএনও সাইদা পারভীন তার কাছে স্মার্টফোন দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তার প্রতারণা প্রকাশ পায়। এ সময় ওই যুবকের মুঠোফোন থেকে এসএসসির ভুয়া প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। ‘ঝঝঈ ইঅঞঈঐ ২০২৩’ নামে একটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবারহ করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক হৃদয়ের দেওয়া তথ্যে অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মুঠোফোন পাওয়া যায়। তারাও ওই ভুয়া প্রশ্নপত্র পাওয়ার ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত ছিলেন।
প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মোনারুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় ইউএনও নির্দেশে আটক হৃদয়কে পুলিশে সোপর্দ ও দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হযেছে।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান জানান, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এক ভুয়া শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের হবে।