আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার তিন কর্মীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জায়েদা খাতুন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে টঙ্গী এলাকায় প্রচারের কাজে যান জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। সেখান থেকে মিরের বাজারে গেলে তাদের কথা শুনে আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হন। এ সময় আচরণবিধি ভঙের অভিযোগে পূবাইল থানা পুলিশ তাদের প্রচারে বাধা দেয়।
এরপর জাহাঙ্গীর ও তার মা পূবাইল রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর এবং পুলিশ তাদের গতিরোধ করে অতিরিক্ত লোকজন ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচার চালাতে নিষেধ করেন। একইসঙ্গে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের কর্মী ভারারুল এলাকার অপারুক আহমেদকে ৩০ হাজার, বাসন এলাকার হারুন সরকারকে ৩০ হাজার ও কড্ডা এলাকার ইমরান হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন পূবাইল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আলম সেখান থেকে চলে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনকে আটক করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া তার প্রচারে কোথাও বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
আচরণবিধি অনুযায়ী একসঙ্গে ৫ জনের বেশি মানুষ নিয়ে কোনো প্রার্থী প্রচারে যেতে পারবেন না—নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর জাহাঙ্গীর আলমকে এমন তথ্য জানালে তিনি বলেন, ‘আমি আমার মাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে বের হয়েছি। আমার পেছনে যদি নগরবাসী তাদের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, জিপ নিয়ে আসেন সে ক্ষেত্রে আমার কি করণীয়। আমরা তাদের না করছি। কিন্তু তারা শুনছে না।’