
১১০ টাকা লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং প্রতিকেজি ৭০ টাকায় চিনি বিক্রি করবে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে মসুর ডালও বিক্রি করা হবে।
রোববার (১৪ মে) থেকে মাসজুড়ে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এ পণ্য বিক্রি করবে সংস্থাটি। শনিবার (১৩ মে) টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই কর্মকর্তার
টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিম্নআয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল, চিনি ও ডাল) পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে টিসিবি কর্তৃক ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে নভেম্বর মাসের বিক্রয় কার্যক্রম আগামী ১৪ মে থেকে শুরু হবে। রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে সিরাজমিয়া মডেল স্কুল মাঠে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ডিলারের দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে।
এক জন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৭০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি, ৭০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল ও ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এ বিক্রয় কার্যক্রম শুধু মহানগরীগুলোতে এবং আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো পরিচালনা করবে ।
সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও আজ ১৫ মে, সোমবার সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এ পণ্য বিক্রি শুরু করেছে । সরোজমিনে বগুড়া পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামিলনগর এলাকায় দেখা যায় স্থানীয় ওয়ার্ড কার্যালয়ে টিসিবি ডিলারের বিক্রয় কার্যক্রম চলছে । টিসিবি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কার্ডধারী ভোক্তাগণ ডিলারদের মাধ্যমে েএসব পণ্য কিনতে পারবেন । কিন্তু , চিনি ব্যতীত প্রতিজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৩৬০ টাকায় ২ কেজি মশুর ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারছে ।

চিনি না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা যায় । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদুল বারী এরশাদ বাংলা প্রেস’কে বলেন- “ টিসিবি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে তদারকি করছি আমরা । এবারের প্যাকেজে ডিলাররা যে যে পণ্য এনেছেন তা সঠিকভাবে বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি করে থাকি । টিসিবি পণ্য বিক্রয়ে শতভাগ সরকারী নির্দেশনা মেনে বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি করছি। ” সংশ্লিষ্ট ডিলার মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী বাংলা প্রেস’কে জানান- “ আমরা সরকারথেকে যা বরাদ্দ পয়েছি তাই বিক্রয় করছি । ”
বগুড়া জেলা টিসিবি ‘র সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ গাজি বাংলা প্রেস’কে জানান- “ কেবলমাত্র ঢাকায় চিনির বরাদ্দ রয়েছে । বরাদ্দ স্বাভাবিক হয়ে গেলে আমরাও বগুড়া জেলায় চিনি সরবরাহ করতে পারব । ”
খোলা বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায় । ফ্যামিলি কার্ডধারী সেউজগাড়ী এলাকার আলিফ মাহমুদ জানান- “ ভর্তুকি মূল্যে তেল ,ডাল কিনতে পারায় আমি উপকৃত । সর্বশেষ রোজার আগে-পরে চিনিসহ প্যাকেজ কিনতে পেরেছিলাম এবার চিনি নেই । ঘরে শিশু বাচ্চা আছে , তাদের খাবার তৈরী সহ সংসারের নানা খাদ্যে চিনি প্রয়োজন । টেলিভিশনের খবরে দেখলাম ৭০ টাকায় ১ কেজি চিনি পাওয়া যাবে কিন্তু এখানে দেখছি চিনি নেই । ”
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানকারী চিনির বর্তমান খোলাবাজারে যখন মূল্য উর্দ্ধমূখী তখন টিসিবি’র ভান্ডারে চিনির অপ্রতুলতাকে আড়চোখে দেখছেন সাধারণ ভোক্তারা । গ্রীষ্মকালে নানাবিধ কারণে চিনির ব্যবহার বাড়ায় বাজারে এর চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে ।