ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহসাই কমছে না লোডশেডিং

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • ১৬৭৬ বার পড়া হয়েছে

সারা দেশেই চলছে গ্যাস সংকট। এই সংকটের কারণে আগের চেয়ে লোডশেডিং বেড়েছে কয়েকগুণ। মূলত ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র হয়ে উঠে গ্যাস সংকট ও লোডশেডিং। আগামী সপ্তাহে গ্যাসের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও লোডশেডিংয়ে ভুগতে হবে গ্রাহককে। এরই মধ্যে গতকাল সকালে গভীর সমুদ্রে থাকা একটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহ শুরু হয়েছে।

সরকার সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলারের অভাবে জ্বালানি আমদানি করা যাচ্ছিল না। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই এই সমস্যা এখনো বিদ্যমান। ফলে জ্বালানির অভাবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। যে কারণে রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সব জায়গায় কমবেশি লোডশেডিং ছিল। এখন আরও তীব্র হয়েছে। রাজধানীতেই গত দুদিন ধরে প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে হচ্ছে। শিগগির এই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

আর গ্যাসের সংকট মেটাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে; কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গত ১২ মে রাত ১১টা থেকে গভীর সমুদ্রে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাসের তীব্র সংকট তৈরি হয়, যা এখানো বিদ্যামান। এই গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জে থাকা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলোর উৎপাদন একেবারে নিচে নেমে এসেছে। গতকাল এই প্রতিবেদন

লেখা পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হয়নি। আজ এই কেন্দ্রগুলো চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে গ্যাস সংকট ও লোডশেডিংয়ের কারণে নাকাল অবস্থায় পড়েছেন গ্রাহকরা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার গ্রাহকরা। দুদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষ হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে। আবার অনেকেই বাসাবাড়িতে মাটির চুলায় রান্নার কাজ সেরেছেন। চট্টগ্রামের সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ ছিল। তবে গতকাল দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রামে গ্যাসের পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ অনেক কমে যাওয়ার কারণে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ কম। এমনকি গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার কারণে রাজধানীর অনেক কারখানা উৎপাদন কমে গেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে গত রোববার বলেন, গ্যাসের সরবরাহ পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আগামী সপ্তাহ লাগবে। আর লোডশেডিং পরিস্থিতিও উন্নতি হবে। তিনি আরও জানান, গভীর সমুদ্রে থাকা এলএনজি টার্মিনালের একটির পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে সাগরের তলদেশে থাকা এই পাইপলাইন মেরামতে সময় লাগবে।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সমুদ্রে থাকা ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। টার্মিনাল দুটির একটি সামিট গ্রুপ এবং অন্যটি পরিচালনা করছে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। এর মধ্যে সামিটের পরিচালনাধীন টার্মিনাল থেকে গতকাল সকাল ৯টার পর থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সামিটের এই টার্মিনাল থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি আগামী সপ্তাহে চালু হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলেন, আজ (সোমবার) সকাল থেকে সামিটের টার্মিনালটি চালু হয়েছে। এখন এখান থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্য টার্মিনালটি এখন গভীর সমুদ্র থেকে এলএনজি খালাস পয়েন্টের দিকে রওনা হয়েছে। আসতে আরও ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে। তিনি জানান, আগামী ১৮ মে এলএনজি নিয়ে দুটি কার্গো আসবে। এই কার্গো এলে তখন এলএনজি সরবরাহ বেড়ে সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়াবে।

পেট্রোবাংলার গতকালের গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ৭৯১ মিলিয়ন ঘনফুট আর তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ছাড়া সারে সরবরাহ করা হয়েছে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট। যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ২ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট।

এদিকে আগে থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার সংকট ছিল। যে কারণে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। গতকাল কয়লা আসার পর আজকালের মধ্যে কেন্দ্রটি চালু হবে। এ ছাড়া কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন এখন কম হচ্ছে। কয়লার অভাবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যে কোনো সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের সংকটে বেসরকারি খাতের অনেক কেন্দ্রেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস সংকটের কারণে গত কয়েকদিনে রাজধানীসহ সারা দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। পিডিবির হিসাব অনুযায়ী গতকাল সারা দেশে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫০, চট্টগ্রামে ৫১, খুলনায় ৬৪, রাজশাহীতে ১৯০, কুমিল্লায় ৩০০, ময়মনসিংহে ১৯০, সিলেটে ১১৯ এবং রংপুরে ১৯৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে।

পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেন, জ্বালানি সংকটে এমনিতেই উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এখন মোখার কারণে গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সারা দেশে লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে লোডশেডিং কমে আসবে। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সহসাই কমছে না লোডশেডিং

আপডেট সময় : ০১:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

সারা দেশেই চলছে গ্যাস সংকট। এই সংকটের কারণে আগের চেয়ে লোডশেডিং বেড়েছে কয়েকগুণ। মূলত ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র হয়ে উঠে গ্যাস সংকট ও লোডশেডিং। আগামী সপ্তাহে গ্যাসের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও লোডশেডিংয়ে ভুগতে হবে গ্রাহককে। এরই মধ্যে গতকাল সকালে গভীর সমুদ্রে থাকা একটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহ শুরু হয়েছে।

সরকার সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলারের অভাবে জ্বালানি আমদানি করা যাচ্ছিল না। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই এই সমস্যা এখনো বিদ্যমান। ফলে জ্বালানির অভাবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। যে কারণে রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সব জায়গায় কমবেশি লোডশেডিং ছিল। এখন আরও তীব্র হয়েছে। রাজধানীতেই গত দুদিন ধরে প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে হচ্ছে। শিগগির এই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

আর গ্যাসের সংকট মেটাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে; কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গত ১২ মে রাত ১১টা থেকে গভীর সমুদ্রে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাসের তীব্র সংকট তৈরি হয়, যা এখানো বিদ্যামান। এই গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জে থাকা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলোর উৎপাদন একেবারে নিচে নেমে এসেছে। গতকাল এই প্রতিবেদন

লেখা পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হয়নি। আজ এই কেন্দ্রগুলো চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে গ্যাস সংকট ও লোডশেডিংয়ের কারণে নাকাল অবস্থায় পড়েছেন গ্রাহকরা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার গ্রাহকরা। দুদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষ হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে। আবার অনেকেই বাসাবাড়িতে মাটির চুলায় রান্নার কাজ সেরেছেন। চট্টগ্রামের সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ ছিল। তবে গতকাল দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রামে গ্যাসের পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ অনেক কমে যাওয়ার কারণে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ কম। এমনকি গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার কারণে রাজধানীর অনেক কারখানা উৎপাদন কমে গেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে গত রোববার বলেন, গ্যাসের সরবরাহ পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আগামী সপ্তাহ লাগবে। আর লোডশেডিং পরিস্থিতিও উন্নতি হবে। তিনি আরও জানান, গভীর সমুদ্রে থাকা এলএনজি টার্মিনালের একটির পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে সাগরের তলদেশে থাকা এই পাইপলাইন মেরামতে সময় লাগবে।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সমুদ্রে থাকা ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। টার্মিনাল দুটির একটি সামিট গ্রুপ এবং অন্যটি পরিচালনা করছে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। এর মধ্যে সামিটের পরিচালনাধীন টার্মিনাল থেকে গতকাল সকাল ৯টার পর থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সামিটের এই টার্মিনাল থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি আগামী সপ্তাহে চালু হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলেন, আজ (সোমবার) সকাল থেকে সামিটের টার্মিনালটি চালু হয়েছে। এখন এখান থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্য টার্মিনালটি এখন গভীর সমুদ্র থেকে এলএনজি খালাস পয়েন্টের দিকে রওনা হয়েছে। আসতে আরও ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে। তিনি জানান, আগামী ১৮ মে এলএনজি নিয়ে দুটি কার্গো আসবে। এই কার্গো এলে তখন এলএনজি সরবরাহ বেড়ে সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়াবে।

পেট্রোবাংলার গতকালের গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ৭৯১ মিলিয়ন ঘনফুট আর তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ছাড়া সারে সরবরাহ করা হয়েছে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট। যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ২ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট।

এদিকে আগে থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার সংকট ছিল। যে কারণে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। গতকাল কয়লা আসার পর আজকালের মধ্যে কেন্দ্রটি চালু হবে। এ ছাড়া কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন এখন কম হচ্ছে। কয়লার অভাবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যে কোনো সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের সংকটে বেসরকারি খাতের অনেক কেন্দ্রেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস সংকটের কারণে গত কয়েকদিনে রাজধানীসহ সারা দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। পিডিবির হিসাব অনুযায়ী গতকাল সারা দেশে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫০, চট্টগ্রামে ৫১, খুলনায় ৬৪, রাজশাহীতে ১৯০, কুমিল্লায় ৩০০, ময়মনসিংহে ১৯০, সিলেটে ১১৯ এবং রংপুরে ১৯৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে।

পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেন, জ্বালানি সংকটে এমনিতেই উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এখন মোখার কারণে গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সারা দেশে লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে লোডশেডিং কমে আসবে। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে