
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে এখন বেসামাল হয়ে উঠেছে। তাই তারা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দেশের মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত রাখতে নিষ্ঠুর পথ অবলম্বন করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যতই ষড়যন্ত্র এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের খড়গ নামিয়ে আনুক না কেন, জনগণের রোষানল থেকে রেহাই পাবে না। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ফখরুল।
জেলা সমাবেশকে সামনে রেখে জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং বাড়িতে তল্লাশি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন তিনি।
ফখরুল বলেন, জেলা সমাবেশকে বানচাল করার লক্ষ্যে গতকাল রাতে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ৯ নম্বর ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, ৮ নম্বর ফুলকোচা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, ২ নম্বর কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল, সাবেক ছাত্রনেতা ও শেরপুর জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল হোসেনকে বিনা ওয়ারেন্টে এবং নেত্রকোনা জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তোফায়েল মীর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাশেদুল ইসলাম জুয়েলকে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে নেতাকর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক পুলিশি তল্লাশিসহ শেরপুর জেলায় ৩২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের সেই নিষ্ঠুরতারই অংশ।
এর আগে শেরপুরে জেলা সমাবেশের প্রস্তুতি সভার আগের রাতে ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইসব জেলায় অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে বানচাল করার লক্ষ্যে জনবিচ্ছিন্ন সরকার এ ধরনের অপকর্ম সংঘটিত করছে। তিনি অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
এদিকে পৃথক বিবৃতিতে নেতাদের গ্রেপ্তার ও বাড়িতে তল্লাশির ঘটনায় নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক গ্রেপ্তার নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।