গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনার ও সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নিরপেক্ষ ভোট করা। প্রশাসনের কিছু লোক আছে যারা এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে তাদের উঠিয়ে এনে হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে এবং অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিয়ে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মহানগরের ছয়দানা এলাকার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারা বলছে জায়েদা খাতুন যেন কোনোভাবেই টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোট না করতে পারে। তারা আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট করার নির্দেশ দিচ্ছে। এটা কী নির্বাচনী পরিবেশ? না গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া?
তিনি বলেন, আমার মা জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ি মার্কা। আমি তার প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছি। সে হিসেবে আমি মায়ের প্রচারের সব কাজের দেখভাল করছি। আমি যখন কোনো প্রচারে যেই তখন প্রত্যেক ওয়ার্ড, মহল্লায় কর্মী ও সমর্থককে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। আজমত উল্লা তার নিজস্ব ও দলীয় লোক দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমার নিজের ভোট নিজেই চাইয়া নিতে অইবো জনগণের কাছ থেইকা। আমরা মা-ছেলে ভোট চাওয়ার জন্য যে কয়দিনই বের হয়েছি এ কয়দিনই হামলা। গতকাল গাড়ির সামনে যে হামলা করল আমরা মা-ছেলের ওপর। আমগো তো জীবন বাঁচানোর জন্য করে নাই। আমি যদি ভোটই না চাইতে পারি, ভোট দেওয়ার জন্য লোকজনের কাছে না কইতে পারি তাইলে ভোট কেমনে কালেকশন করব। ওরা ভোটের জন্য আমাকে, আমার ছেলেরে মারার প্রস্তুত নিআইছে।’
তিনি বলেন, ‘আজমত উল্লা খান যেই লোক সেট করছে আমরা তো এগুলো ভাবতে পারি না। তারা যে বেরুলেই আমার ওপর হামলা দিব। আমার মার্কা হইছে ঘড়ি। আমার মার্কার মইধ্যে ভোট চাই, আমার ভোটের নিরাপত্তা চাই। আমার ভোট জনগণে দিব ২৫ তারিখে। প্রমাণ করে দিব ২৫ তারিখে আমি আর আমার ছেলে যে কি রকম।’