ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পদ হারালেন চেয়ারম্যান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • ১৭০৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, অসদাচরণ ও আইন অমান্যের অভিযোগ এনে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর পর পদ হারালেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফা।

গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে তাকে ঢাকা ওয়াসা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য সুজিত কুমার বালাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সুজিত কুমার বালা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে আছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৭ এর ৭(১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য সুজিত কুমার বালাকে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী তিনি ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

গোলাম মোস্তফা বর্তমানে কানাডার টরন্টোতে আছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত অক্টোবরেই আমার চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলাম। ওই মেয়াদ শেষে বিদায় দিলে আমার কোনো কিছু বলার থাকত না।

তিনি বলেন, যখন তাকসিমের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা শুরু করলাম, তখনই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এতে আরও স্পষ্ট হয়, তাকসিম যেভাবে ওয়াসা চালাতে চায় সেভাবেই চালাবে। বোর্ডকে সে কিছু করতে দেবে না।

গত ১৭ মে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন গোলাম মোস্তফা। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকেও। চার পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রে তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন গোলাম মোস্তফা। এর মাত্র চার দিনের মাথায় ওয়াসার চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

এর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছিল ওয়াসার কর্মচারী ইউনিয়নগুলো। ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বন্দ্ব আগে থেকে চলছে। এ মাসের শুরুতে এক টকশোতে ওয়াসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন বোর্ড চেয়ারম্যান। তাতে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিব্রত ও হেয় করা হয়েছে অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেয় ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়ন, ঢাকা ওয়াসা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ওয়াসা ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিয়ন।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পদ হারালেন চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ১০:১০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, অসদাচরণ ও আইন অমান্যের অভিযোগ এনে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর পর পদ হারালেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফা।

গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে তাকে ঢাকা ওয়াসা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য সুজিত কুমার বালাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সুজিত কুমার বালা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে আছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৭ এর ৭(১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য সুজিত কুমার বালাকে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী তিনি ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

গোলাম মোস্তফা বর্তমানে কানাডার টরন্টোতে আছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত অক্টোবরেই আমার চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলাম। ওই মেয়াদ শেষে বিদায় দিলে আমার কোনো কিছু বলার থাকত না।

তিনি বলেন, যখন তাকসিমের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা শুরু করলাম, তখনই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এতে আরও স্পষ্ট হয়, তাকসিম যেভাবে ওয়াসা চালাতে চায় সেভাবেই চালাবে। বোর্ডকে সে কিছু করতে দেবে না।

গত ১৭ মে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন গোলাম মোস্তফা। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকেও। চার পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রে তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন গোলাম মোস্তফা। এর মাত্র চার দিনের মাথায় ওয়াসার চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

এর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছিল ওয়াসার কর্মচারী ইউনিয়নগুলো। ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বন্দ্ব আগে থেকে চলছে। এ মাসের শুরুতে এক টকশোতে ওয়াসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন বোর্ড চেয়ারম্যান। তাতে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিব্রত ও হেয় করা হয়েছে অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেয় ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়ন, ঢাকা ওয়াসা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ওয়াসা ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিয়ন।