ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাবল সেঞ্চুরি করলো কাঁচামরিচ , ডিমের ফিফটি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • ১৬৮৫ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে আদা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ডিম, আলু, মাছ ও মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে এসব পণ্যের দাম। বিশেষ করে ফার্মের মুরগির ডিম ৫০ টাকা হালি ও কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে। এতে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের শাক সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-১০ টাকা। আদা, আলু, কাঁচামরিচ ও ডিম রের্কড দামে বিক্রি হলে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। সাদা ককের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ফার্মের মুরগির ডিম হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও মাংসের বাজারও চড়া। এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৭০ টাকা ও খাসির মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। ছোট সাইজের চিংড়ি ৭০০-৭৫০ টাকা ও দেশি ট্যাংরা মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলেটের বাজারে প্রতি কেজি আদা ৩০০-৩৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০, কাঁচামরিচ ২০০-২২০ এবং প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরের রিকাবীবাজারে গরুর মাংস কিনতে এসেছেন একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘বাসায় মেহমান আসবেন। তাই রোস্টের মোরগ ও গরুর মাংস কিনতে এসেছি। তবে মাংসের যে দাম তাতে বাজেটে টান পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘যে রোস্টের মোরগ (সোনালি) দুই সপ্তাহ আগেও ২২০ টাকা পিস কিনেছি তা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৫০ টাকা। দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি।’
নগরের অন্যতম কাঁচাবাজার মদিনা মার্কেট এলাকায় বাজার করতে আসা মাইক্রোবাসচালক আবিদ মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। এতে আমাদের মতো মানুষ বিপাকে আছে।’
নগরের রিকাবীবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট এবং মেডিকেল রোডসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে শাক সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি। প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা ও পেঁপে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রিকাবীবাজারের সবজি বিক্রেতা সোহাগ আহমদ বলেন, ‘এ সপ্তাহে সব ধরনের শাক সবজির দাম দাম একটু বেড়েছে। বেশি দামে পাইকারি বাজারে কিনলে খুচরা বাজারেও আমাদের দাম বাড়াতে হয়। দাম বাড়ানো-কমানো আমাদের হাতে নেই।’
মেডিকেল রোডের লিবার্টি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলু, পেঁয়াজ, আদা ও ডিমের দাম প্রায় প্রতিদিনই ৪-৫ টাকা করে বাড়ছে। চিনির বাজারও অস্থির।
ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডাবল সেঞ্চুরি করলো কাঁচামরিচ , ডিমের ফিফটি

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
সিলেটে আদা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ডিম, আলু, মাছ ও মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে এসব পণ্যের দাম। বিশেষ করে ফার্মের মুরগির ডিম ৫০ টাকা হালি ও কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে। এতে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের শাক সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-১০ টাকা। আদা, আলু, কাঁচামরিচ ও ডিম রের্কড দামে বিক্রি হলে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। সাদা ককের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ফার্মের মুরগির ডিম হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও মাংসের বাজারও চড়া। এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৭০ টাকা ও খাসির মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। ছোট সাইজের চিংড়ি ৭০০-৭৫০ টাকা ও দেশি ট্যাংরা মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলেটের বাজারে প্রতি কেজি আদা ৩০০-৩৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০, কাঁচামরিচ ২০০-২২০ এবং প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরের রিকাবীবাজারে গরুর মাংস কিনতে এসেছেন একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘বাসায় মেহমান আসবেন। তাই রোস্টের মোরগ ও গরুর মাংস কিনতে এসেছি। তবে মাংসের যে দাম তাতে বাজেটে টান পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘যে রোস্টের মোরগ (সোনালি) দুই সপ্তাহ আগেও ২২০ টাকা পিস কিনেছি তা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৫০ টাকা। দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি।’
নগরের অন্যতম কাঁচাবাজার মদিনা মার্কেট এলাকায় বাজার করতে আসা মাইক্রোবাসচালক আবিদ মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। এতে আমাদের মতো মানুষ বিপাকে আছে।’
নগরের রিকাবীবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট এবং মেডিকেল রোডসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে শাক সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি। প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা ও পেঁপে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রিকাবীবাজারের সবজি বিক্রেতা সোহাগ আহমদ বলেন, ‘এ সপ্তাহে সব ধরনের শাক সবজির দাম দাম একটু বেড়েছে। বেশি দামে পাইকারি বাজারে কিনলে খুচরা বাজারেও আমাদের দাম বাড়াতে হয়। দাম বাড়ানো-কমানো আমাদের হাতে নেই।’
মেডিকেল রোডের লিবার্টি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলু, পেঁয়াজ, আদা ও ডিমের দাম প্রায় প্রতিদিনই ৪-৫ টাকা করে বাড়ছে। চিনির বাজারও অস্থির।