রিয়ানা সৌদী আরবের প্রথম নারী মহাকাশচারী, যিনি স্পেইসে গিয়েছেন। তিনি একজন বিজ্ঞানী, গবেষণা করেন ক্যান্সারের স্টিম সেল নিয়ে। মিশনে তিনি স্তন ক্যান্সারের ওপর গবেষণা করবেন। সংবাদ সংস্থা রয়েটার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, ‘এমন আন্তর্জাতিক আয়োজনে আমরা ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে এক সাথে হয়েছি। এতে বোঝা যায় স্পেইস সবাইকে কাছে নিয়ে আসে।’
২১ মে, মহাকাশের উদ্দেশ্যে পৃথিবী ছাড়ে অ্যাক্সিয়ম মিশনের চারজন মহাকাশকাচারী। বর্তমানে তারা পৃথিবীর বাইরে ইন্টারন্যাশনাল স্পেইস স্টেশনে (আইএসএস) অবস্থান করছে।
মিশনে চারজনের ক্র ৮ দিনের জন্য স্পেইস স্টেশনে আরো সাতজন মহাকাশচারীদের সঙ্গে অবস্থান করবেন। এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পেগি হুইটস্টন, এর আগে আরও যার চারবার মহাকাশে যাবার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া মিশনে আছেন ইতালীয় এয়াফোর্স পাইলট জন শফনার ও সৌদি আরবের দুই মহাকাশচারী- আলী আলক্বারনি ও রিয়ানা বারনাবি।
বাণিজ্যিক স্পেইস কোম্পানি অ্যাক্সিয়ম, নাসা ও স্পেইস এক্সের সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো ক্রসহ এই মহাকাশ মিশনে গেছে। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে বাণিজ্যিকভাবে অ্যাক্সিয়মের প্রথম মিশন ক্রুসহ মহাকাশে যায়।
নাসার আর্তেমিস প্রজেক্টের স্পেইস স্যুট তৈরিরও দায়িত্বে আছে এই সংস্থা। আর্তেমিস হলো চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষ নিয়ে যাওয়ার নাসার একটি মিশন। এই মিশনের অধীনে ২৮৮ মিলিয়ন থেকে ১.২৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের স্যুট মহাকাচারীদের জন্য তৈরি করবে অ্যাক্সিয়ম।