
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যদি বলে তারা পশ্চিম দিক থেকে এসেছে বুঝবেন যে দক্ষিণ থেকে এসেছে। যদি বলে ট্রেনে এসেছে ধরে নেবেন তারা বাসে এসেছে। কারণ তাদের কথার কোনো মিল নেই। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, গায়েবি মামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আন্দোলন দমানো নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের মাঠে নেমে বিএনপির হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন। সেজন্যই তারা কেরানীগঞ্জে দলীয় ক্যাডার দিয়ে হামলা চালিয়েছে বিএনপির সংগ্রামী নেত্রী ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর ওপর। তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এখন সে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়। আসলে তাদের উদ্দেশ্য হাত-পা নয়, মাথায় আঘাত করা, বিএনপি ও বিরোধীদল শূন্য করা, যাতে তাদের পদত্যাগের আওয়াজ না ওঠে। তারা নিপীড়ন-নির্যাতন করে গলার কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য অমানবিক ও অমানসিক।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কেরানীগঞ্জে নাকি বিএনপি আক্রমণ করেছে? তাহলে নিপুন হাসপাতালে কেন? আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যার ওপর দেশ শাসন করছেন। কারণ তারা অবৈধ। তারা শেখ হাসিনার অবৈধ কথা শুনছে। তারা আগুন নিয়ে খেলছে। এই আগুনেই পুড়ে ছাড়খাড় হবে আওয়ামী লীগ।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জনসমাবেশের আয়োজ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম বকুল, আজিজুল বারী হেলাল, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, তানভীর আহমেদ রবিন, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।