ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমান ও টুকুর কারাদন্ড বহাল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • ১৬৬২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি নেতা আমান ও ইকবাল হাসান টুকুর কারাদন্ড বহাদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

দুদকের অপর মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন একই আদালত।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমান দম্পতি ও ইকবাল হাসান টুকুর আপিল খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাজনীতিবিদ রক্ষক; ভক্ষক হতে পারেন না।
হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনজনকেই আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আমানউল্লাহকে ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরাকে ৩ বছরের কারাদন্ড দেয় বিচারিক আদালত। অপর এক মামলায় বিচারিক আদালত ইকবাল হাসান টুকুকে ৯ বছরের কারাদন্ড দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা পৃথক আপিল করেন।
হাইকোর্টে আমান দম্পতির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজমুল হুদা।
ইকবাল হাসানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইফুল্লাহ মামুন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী টাইতাস হিল্লোল। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আমান দম্পতির আইনজীবী নাজমুল হুদা।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ রায় দেয়া হয়।
অপরদিকে চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছর কারাদন্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমান ও টুকুর কারাদন্ড বহাল

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
বিএনপি নেতা আমান ও ইকবাল হাসান টুকুর কারাদন্ড বহাদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

দুদকের অপর মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন একই আদালত।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমান দম্পতি ও ইকবাল হাসান টুকুর আপিল খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাজনীতিবিদ রক্ষক; ভক্ষক হতে পারেন না।
হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনজনকেই আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আমানউল্লাহকে ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরাকে ৩ বছরের কারাদন্ড দেয় বিচারিক আদালত। অপর এক মামলায় বিচারিক আদালত ইকবাল হাসান টুকুকে ৯ বছরের কারাদন্ড দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা পৃথক আপিল করেন।
হাইকোর্টে আমান দম্পতির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজমুল হুদা।
ইকবাল হাসানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইফুল্লাহ মামুন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী টাইতাস হিল্লোল। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আমান দম্পতির আইনজীবী নাজমুল হুদা।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ রায় দেয়া হয়।
অপরদিকে চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছর কারাদন্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।