অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন । বেশ কিছু পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী । এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম (বাজেট) অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
যেসব পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন সেগুলো হলো- বলপয়েন্ট কলম, সফটওয়্যার, পলিপ্রপাইলিং ফিল্ম, এলপিজি সিলিন্ডার, মোবাইল ফোন, প্লাস্টিকের সব ধরনের গৃহস্থালি পণ্য (টিফিন বক্স ও পানির বোতল ছাড়া), টিস্যু পেপার, অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র, সানগ্লাস, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, রাইস কুকার ও প্রেসার কুকার।
প্রিন্টার, স্ক্যানার, রাউটার, ইয়ার ফোন, পেনড্রাইভ, এসএসডি কার্ড, সিসিটিভি মনিটর, প্রজেক্টর, ডিজিটাল ওয়াচ, ইলেকট্রিক প্যানেল, খেজুর, বাদাম, কাজুবাদাম, প্রসেসড ফ্রুটস, স্বর্ণের বার, বাসমতি চাল, সিমেন্ট, সিগারেট, বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশ, গ্লাস, ই-সিগারেট, লিফট ও এসক্যালেটর, ফেসওয়াশ, টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড, টুনা-স্যালমন জাতীয় আমদানি করা মাছ ও আমদানি করা মোটরসাইকেলের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। গতবছর অর্থমন্ত্রী চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন। তবে সংশোধিত হয়ে এই বাজেটের আকার কমে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বাড়ছে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।