২০১৬ সালের ৩ জুন ‘পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন’ জয়ের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন। সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার সারা দেশে তিন লাখ আট হাজার গাছের চারা রোপণ করছে বিডি ক্লিন। একটি দেশের মোট ভূখণ্ডের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকে কিন্তু বাংলাদেশের আছে মাত্র ১৪.১ (২০১৯ সালের বন জরিপ অনুযায়ী) শতাংশ।
আবহাওয়ার আচরণ বদলে যাওয়ায় গরমের সময় ঠাণ্ডা, ঠাণ্ডার সময় গরম পড়ে, ফসলের উত্পাদন কমেছে। বিডি ক্লিন জানায়, বর্তমানে ২০২৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বিডি ক্লিনের ৪৪ হাজার সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। ‘জন্মদিন বা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কেক কেটে নয়, বরং এমন কিছু করে দেখাও, যা জাতির জন্য কল্যাণকর হয়’—এ স্লোগানে আজ প্রত্যেক সদস্য তাদের নিজস্ব এলাকা বা বাড়ির উঠানে, বারান্দায় বা ছাদে অথবা নিজে যত্ম নিতে পারবেন এমন স্থানে সাতটি করে গাছ লাগাবেন। পাশাপাশি দেশি প্রজাতির ও ঔষধি এসব গাছের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও করবেন তাঁরা। গাছগুলো হলো কাঁঠাল, জাম, জলপাই, লিচু, নিম, অর্জুন, বকুল ও জারুল।
পরিকল্পনামতে বিডি ক্লিন সদস্যরা আজ বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে তাদের নিজের পছন্দের জায়গায় যার যার প্রিয় বা পছন্দের গাছগুলো রোপণ করেন। গাছের আকার নির্ধারিত হয়েছে সর্বনিম্ন আড়াই ফুট। সদস্যদের গাছ রোপণ করা এবং পরবর্তী ৩০ মিনিটের মধ্যে নিজের লাগানো গাছের ছবি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিজ নিজ ফেসবুক টাইমলাইন থেকে #সবাই মিলে লাগাই বৃক্ষ, #১ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ শিরোনামে আপলোড করার প্রতিজ্ঞা রয়েছে। এবং গাছগুলো পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কিনা তা ছবি তুলে প্রতি মাসের ৩ তারিখ সন্ধ্যায় নিজ ফেসবুকে আপলোড করতে হবে।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক চম্পা আক্তার বলেন, ‘সাধারণত কেক কেটে হৈচৈ বা মজা করার মধ্য দিয়ে সবাই নিজ নিজ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন। কিন্তু আমরা তা করছি না। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, জন্মদিন বা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির জন্য কল্যাণকর হয় এমন কিছু করা উচিত। তাই আমরা গাছ লাগানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। সারা দেশে আমাদের সদস্যরা এই কর্মসূচি পালন করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের রোপিত ওই সাতটি গাছের পরিচর্যা আমরা নিজেরাই করব। এখানেও আমাদের স্লোগান রয়েছে ‘গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করব, পরিচ্ছন্ন সবুজ বাংলাদেশ গড়ব’।
প্রধাণত সংগঠনটি রাস্তায়, সাগরে, বনে বা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার অভ্যাসের মানসিকতা দূর করে পরিচ্ছন্ন মানসিকতা এবং পরিচ্ছন্ন, জীবাণুমুক্ত ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।