অস্তগামী সূর্য এবং পূর্ণিমা চাঁদের আবির্ভাব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ স্বর্গীয় দৃশ্য প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবেন পৃথিবীবাসী। জুন মাসের শুরুর এই পূর্ণচন্দ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের কাছে ‘স্ট্রবেরি মুন’ হিসেবে পরিচিত।
উত্তর আমেরিকায় এটি দৃশ্যমান হয়। পুরোদস্তুর চাষের সময় অর্থাৎ জুন মাসের এ সময়কে স্ট্রবেরি মুনের সঙ্গে তুলনা করেন তারা। প্রতি বছর মাত্র একবারই স্ট্রবেরি মুনের দেখা মেলে, যা দেখতে অধীর অপেক্ষায় থাকেন চিত্রগ্রাহকরা। আজই সেই বিশেষ দিন। রোববার রাতেই দেখা মিলবে পূর্ণচন্দ্র ‘স্ট্রবেরি মুনের’।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই নাম দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনকে ধরার জন্য এ নাম দেওয়া হয়। এ সময় উত্তর আমেরিকায় স্ট্রবেরি চাষের পূর্ণ সময়। স্ট্রবেরি পেকে খাদ্য-উপযোগী হয়ে ওঠে তাই এ নামকরণ। স্ট্রবেরি মুন মানে এটা নয় যে, এর রঙ স্ট্রবেরির মতোই হতে হবে।
সাধারণ জলবায়ুতে এটা হাল্কা হলুদ রঙের দেখা যায়। কিংবা হাল্কা সোনালি রঙের দেখা যায়। শুধু উত্তর আমেরিকা বা আর্জেন্টিনা নয়, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এটা দেখা যাবে।
কেউ কেউ একে হট মুন, রোজ মুন নামেও ডাকেন। এ সময় চাঁদকে অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখাবে। তবে স্ট্রবেরি মুন ‘সুপার মুন’ নয়। যখন চাঁদ একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় (যাকে পেরিজি বলা হয়) পৃথিবীর নিকটতম বিন্দুতে থাকে তখন চাঁদ পূর্ণিমায় তার আকারের চেয়ে বড় এবং উজ্জ্বল হয়, আমরা তাকে সুপার মুন বলে ডাকি।
গতকাল থেকেই রাতের আকাশে দেখা মিলছে পূর্ণিমার চাঁদের। বিশাল থালার মতো গোলাকার চাঁদ, আর তার গায়ে লালচে গোলাপি আভা নজর এড়ায়নি কারো। শুধু স্ট্রবেরি মুনই নয়। এদিন মঙ্গল এবং শুক্র গ্রহকেও দেখা যাবে পশ্চিম আকাশে। মঙ্গল শুক্রের পাশাপাশি রোববারের রাতের আকাশের শোভা বাড়াবে অ্যান্টারিজ নক্ষত্র। পৃথিবী থেকে আনুমানিক ৬০৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত স্করপিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলের সদস্য লাল রঙের এ বিশালাকার তারাটিকে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুনের উপরের ডানদিকে।