২০১৮ সালে ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এর মাধ্যমে ৪৪+ সাইজের বুক গঠনের পর নিজের স্তন নিয়ে টক শোতে খোলামেলা আলাপ করা, টিকটক ফেইসবুকে নিজের বিশাল বক্ষ দেখিয়ে নাচ গানের ভিডিও বানিয়ে আলোচিত সমালোচিত হন সানাই মাহবুব।
এর পর ২০১৯ সালে এক মন্ত্রীকে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে ফের আলোচনায় আসেন। এর মাঝে ইন্টারনেটে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকল প্রজন্মকে অশ্লীলভাবে বুক দেখানোর অসামাজিক কার্যকলাপে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের মুখোমুখি হয়ে মুচলেকা দিয়ে ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে।
২০২২ সালে বর্তমান স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সালেহ মুসা সানাইকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। ২০২৩ এর ২২ মে প্রথম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘বিচ্ছেদ স্বাভাবিক ব্যাপার, জীবনেরই অংশ’ শীর্ষক স্ট্যাটাস দেয়ার পর নেটিজেনরা আবার সানাই আলাপে মেতে ওঠে। গত বুধবার রাত প্রায় ৯টার দিকে ফেসবুক পেজে স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সালেহ মুসার সঙ্গে ডিভোর্সের অফিশিয়াল কার্যক্রম নিশ্চিত করেন সানাই।
আবু সালেহ মুসা সংবাদমাধ্যমে বলেন তাকে মারধর করে কিডনি আঘাতপ্রাপ্ত করেছে সানাই। কিন্তু সানাই এই অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করেছেন। ফেইসবুকে লিখেছেন তার ফেইসবুক হ্যাক থাকাকালীন এইরকম গুজব রটেছে। এখন ফেইসবুক একাউন্ট ফেরত পেয়ে জানান “আমি কোন দুঃখে আমার স্বামীকে মারতে যাব? আর কিডনি ড্যামেজ করে দিয়েছি মানে? আসেন আপনারা সবাই মিলে পপুলার কিংবা ল্যাবএইডে গিয়ে আমার স্বামীর কিডনি পরীক্ষা করে দেখি। রিপোর্ট কি আসে। সেখানেই প্রমাণ হবে কিডনি ঠিক আছে কিনা। এগুলো আশ্চর্যজনক নিউজ আপনারা কীসের ভিত্তিতে করেন? আপনারা আসেন না ভাই, ওকে নিয়ে পপুলার বা ল্যাবএইডে গিয়ে একটা টেস্ট করাই, তার পর না হয় রিপোর্টের ছবি দিয়ে নিউজ করলেন। আমার তো সৎসাহস আছে, আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতেছি, চলুন তাকে নিয়ে পপুলার কিংবা ল্যাবএইডে যাই কিংবা এভারকেয়ারে কিংবা অন্য কোনো হসপিটালে যাই। গিয়ে আপনারা লাইভে থাকলেন না হয়। একটা টেস্ট করান ওর, তা হলেই তো হয়। প্রমাণ চলে আসবে। আসেন আপনারা সবাই।’’
সানাই বলেন তার স্বামী শারীরিক ভাবে অক্ষম। “তার পরিবার তাদের সন্তান অক্ষম জানার পরও আমাকে এভাবেই মানিয়ে নিতে বলে। অনেক ডাক্তার, হারবাল ওষুধ, কাউন্সিলিং করে লাভ হয়নি। বিয়ের রাতেই তার সমস্যার কথা বুঝলেও বিষয়টি মেনে নিতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু এভাবে তো আর চলতে পারে না। তাই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।”