প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ দশে বাংলাদেশের অবস্থান এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক ।
আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হবে বাংলাদেশে। এ বছরে দিবসটির স্লোগান ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে’ এবং ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’।
পলিথিন ব্যবহারের পর তার প্রায় সবটাই ভূ-গর্ভে চলে যায়। কেবল মাটিতে বা পানিতেই শুধু নয় বাতাসের পাশাপাশি মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণিদেহে মিলছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি! (পাঁচ মিমি কম দৈর্ঘ্যের প্লাস্টিকের টুকরোগুলোই মাইক্রোপ্লাস্টিক )।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি ডিভিশনসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নানা প্রজাতির প্রাণির ওপর গবেষণা করে এই তথ্য দিয়েছে। জেলা নদী রক্ষা কমিটির এক সভামতে বগুড়ার করতোয়া নদীর তলদেশে এক মিটার পুরু পলিথিনের স্তর রয়েছে। তাই যদি এই নদী খনন করাও হয়, তাহলে এর বর্জ্য তথা নদীর তলদেশ থেকে উঠানো পলিথিন কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে শঙ্কিত সকলে।
আগে ক্রেতা কেনাকাটায় কাগজ, পাট, চট, কাপড় ইত্যাদির ব্যাগ ব্যবহার করত। এখন সকলে বিক্রেতার কাছে পলিথিনের ব্যাগ চায়। জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে সাথে ওয়ান টাইম ইউজেবল সামগ্রী, পলি, সুলভ প্লাস্টিকের নিত্যপণ্য, ফার্নিচার, নির্মাণ সামগ্রী সবকিছুতেই প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে। প্লাস্টিকের দাম কম হওয়ায় এই কঠিন আর্থিক সমস্যার যুগে এই বিষয়ে জনগণ সচেতনভাবেই দূষণরোধে কোন ইচ্ছাপোষণ করছে না।