সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও শুরু হয়েছে খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে ডিলারদের মাধ্যমে ও এম এস এর চাল, আটা বিক্রয় কার্যক্রমের গ্রাহক পর্যায়ের কার্ড তৈরীর কার্যক্রম।
সরোজমিনে বগুড়া সদরের সেউজগাড়ী এলাকায় ডিলার পয়েন্টে দেখা যায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দীর্ঘ সারি। তীব্রতাপদাহে ওষ্ঠাগত শিশুসহ মহিলাদের অপেক্ষার দীর্ঘ সারি, বয়োবৃদ্ধ, বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ – মহিলারা অপেক্ষা করছেন ডিলার পয়েন্টের সামনে।
সেউজগাড়ী রেলকলোনীর বাসিন্দা আফরুজা খাতুন (৫৬) বলেন – ” সকাল ৭:৩০ এ দাড়াইছি এখন পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশ করতে পারি নাই। ”
মলগ্রাম এলাকার বয়োবৃদ্ধ মাহফুজার আকন্দ বলেন – ” সকালবেলা আট টার দিকে যখন আমি দাঁড়াই তখন আমাদের ২৫০ জন সম্পর্কে বলা হয় নি। এখন বলা হচ্ছে প্রতিদিন ২৫০ জন করে কার্ড দেওয়া হবে এবং তাদেরকেই কেবল আটা দেওয়া হবে ; তাহলে এই কাঠফাটা গরমে আমাদের এবাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না। ”
মহিলাদের দীর্ঘ দুইটি লম্বা সারি ও পুরুষদের একটি সারি দেখা যায়। এসব লাইন উপেক্ষা করে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এব্যপারে খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবু মুসা সরকার বলেন – ” প্রতিদিন ২৫০ জন করে আগামী ১৩ই জুন পর্যন্ত ১২৫০ জন জাতীয় পরিচয়পত্রধারী নাগরিকদের খাদ্য অধিদপ্তরের এই গ্রাহক কার্ড ইস্যু করা হবে। সাধারণ মানুষের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি ডিলারদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন – ” কোন অনিয়ম হচ্ছে না। আমরা লাইনে দাড়ানো ২৫০ জনকে কার্ড দিবো। ” ডিলার মোসা: সোনিয়া পারভীনের কাছে লাইনে দাড়ানো মানুষের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি ও তার সহকারী অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ।
জামিলনগর এলাকা থেকে কার্ড করতে আসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘসূত্রিতা ও অরাজকতা দেখে চলে যান। এছাড়াও মালগ্রাম দীঘিরপাড় এলাকার সালাম অভিযোগ করেন ডিলারদের পরিচিত লোকেরা একাদিক আইডিকার্ড ভিতরে দিচ্ছন এবং আটা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন আর আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি ঘন্টার পর ঘন্টা। ডিলার ও তার লোকজন আমাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন, আজ না শুধু আগে থেকেই। এসব দেখার কেউ নেই।
সাধরণ মানুষ আক্ষেপ করে জানান প্রতিদিন যদি ২৫০ জনকে কার্ড ইস্যু করা হবে সে তথ্য দিনের শুরুতে জানানো কিংবা কোন টোকেন বা তালিকা করলে মানুষের ভোগান্তি কমে যেতো। নারী ও শিশুদের জন্য অন্তত কোন ছায়া বা ছউনীর ব্যবস্থা করলে এই তাপদাহে তারা রক্ষা পেতেন। বয়স্ক অনেককে অসুস্থতা অনুভব করতে দেখা যায়। স্হানীয় জনপ্রতিনিধি বগুড়া পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ এরশাদুল বারী এরশাদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান – ” ও এম এসের মাধ্যমে আটা- চাল কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয়ের ব্যাপারে সরকারী কোন নির্দেশনা তিনি পান নাই। ”