
অবশেষে বরফ গলতে শুরু করেছে সৌদি ইরান সম্পর্কের । দীর্ঘ সাত বছর পর রিয়াদে মঙ্গলবার খুলেছে ইরানের দূতাবাস। ধারণা করা হচ্ছে খুব দ্রুত তেহরানেও খোলা হতে পারে সৌদি দূতাবাস।
এই দুই দেশের শত্রুতা আর রেষারেষি গত চার দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যকে বিপর্যস্ত করেছে। সেই ইরান আর সৌদি আরবের মধ্যে মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির পর থেকে এই দুই দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে যাত্রী বিমান চলাচল ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ইরান থেকে সৌদি আরবে ইস্পাত রপ্তানিও শুরু হয়েছে। সুদানে আটকে পড়া ৬০ জন ইরানি নাগরিক উদ্ধারে সৌদি নৌবাহীনির ভূমিকা এই বরফ গলাকে ত্বরান্বিত করেছে। সরকারি সূত্র থেকে জানা গেছে খুব শিঘ্রই প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রিয়াদ সফরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। এই সফর হলে তা হবে ২০০৭ সালের পর কোনো ইরানি নেতার প্রথম সৌদি সফর।
বিশ্লেষকরা এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এই প্রশ্ন তুলছেন, এই সখ্যতার ভিত্তি আসলে কতটা শক্ত? এবং কতদিন তা টিকবে? দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়নের দীর্ঘ ইতিহাস এবং মধ্যপ্রাচ্যে নেতৃত্ব নিয়ে শিয়া ইরান এবং সুন্নি সৌদি আরবের অব্যাহত প্রতিদ্বন্দ্বিতাই মূলত এই প্রশ্নের কারন। এখন সময়ই বলে দেবে এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কি হবে।