ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজুল আলম খান মারা গিয়েছেন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • ১৬৬৬ বার পড়া হয়েছে

সিরাজুল আলম খান

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

দীর্ঘদিন রোগে ভুগে শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।

সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. রুবেল হাওলাদার জানান, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।

সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।  গত ১ জুন তাকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৬ দফা দাবির সমর্থনে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

সিরাজুল আলম খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুর হক মনির সঙ্গে তার মতভেদ তৈরি হয় এবং তিনি ছাত্রলীগ থেকে সরে যান। পরবর্তীতে তার অগ্রণী ভূমিকায় গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। জাসদ প্রতিষ্ঠায় তিনি নেতৃত্ব দিলেও তিনি দলটির নেতৃত্বে আসেননি।  তবে তার দিকনির্দেশনায়ই স্বাধীনতার পর জাসদ তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত।

জাসদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ সিরাজুল আলম খান কখনও জনসম্মুখে আসতেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেন না। আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পান।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজুল আলম খান মারা গিয়েছেন

আপডেট সময় : ০৮:১৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

দীর্ঘদিন রোগে ভুগে শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।

সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. রুবেল হাওলাদার জানান, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।

সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।  গত ১ জুন তাকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৬ দফা দাবির সমর্থনে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

সিরাজুল আলম খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুর হক মনির সঙ্গে তার মতভেদ তৈরি হয় এবং তিনি ছাত্রলীগ থেকে সরে যান। পরবর্তীতে তার অগ্রণী ভূমিকায় গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। জাসদ প্রতিষ্ঠায় তিনি নেতৃত্ব দিলেও তিনি দলটির নেতৃত্বে আসেননি।  তবে তার দিকনির্দেশনায়ই স্বাধীনতার পর জাসদ তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত।

জাসদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ সিরাজুল আলম খান কখনও জনসম্মুখে আসতেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেন না। আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পান।