রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনকে সামনে প্রার্থীদের প্রতারিত করার ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। চক্রটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা সেজে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে নির্বাচন জিতিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিচ্ছে। আর তাদের ‘কথা না শুনলে’ নির্বাচনের ফল পরিবর্তনেরও হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
প্রতারণার চেষ্টার বিষয়টি বুঝতে পেরে ইতোমধ্যে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আরমান আলী অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রতারক চক্র থেকে প্রার্থীদের সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর প্রার্থী আরমান আলীকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৯ মিনিটের দিকে তার ব্যক্তিগত মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন করা হয়। ফোনে প্রতারক নিজেকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহাসান হাবিব খান পরিচয় দেন। হোয়াটসঅ্যাপে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিবের ছবিও ব্যবহার করা হয়। নির্বাচন কমিশনার সেজে এই প্রতারক প্রার্থীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। বলেন, তার কথামতো কাজ করলে আসন্ন নির্বাচনে আরমান আলীকে আবার জিতিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে প্রতারক আবার ফোন করে ০১৮৭৬৯৫৯৭৩১ নম্বরটি দেন। এসময় তিনি জানান, এই মোবাইল নম্বরটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের। ওই প্রতারক এই নম্বরে যোগাযোগের জন্য আরমান আলীকে নির্দেশনা দেন। যোগাযোগ না করলে তারা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার হুমকি দেন। তবে আরমান আলী হুমকি পাত্তা দেননি। এরপর সকাল ৮ টা ২৯ মিনিটে, ৮টা ৩৮ মিনিট এবং ১১টা ১৩ মিনিটে প্রতারক চক্র আবারও কল দেয়।
সংঘবদ্ধ একদল প্রতারক চক্র মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে বলে বুঝতে পারেন আরমান আলী। তিনি দ্রুত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের সতর্ক করে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়। এটি প্রতারকচক্রের কাজ। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।