ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় সংবাদপত্র কালোদিবস পালিত

প্রধান অতিথির  বক্তব্য রাখেন দৈনিক বগুড়ার  প্রকাশক ও পৌর মেয়র রেজাউল  করিম  বাদশা ।

আজ ১৬ জুন রোববার। বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পের কালো দিবস। ১৯৭৫ সালের এ দিনে তৎকালীন সরকার চারটি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ছাড়া বাকি সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। এ কারণে ১৯৭৮ সালে অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দিনটিকে কালো দিবস ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে সাংবাদিক সমাজ প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বেলা  ৩ টায় টিএমএসএস মহিলা মার্কেটের  সেমিনার  হলে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া   আলোচনা সভার আয়োজন করে ।

প্রধান অতিথির  বক্তব্যে দৈনিক বগুড়ার  প্রকাশক ও বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল  করিম  বাদশা বলেন- সাংবাদিকরা হলো স্বৈরশাসকের  বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার । বর্তমান সরকার ফ্যসিবাদী কায়দায় সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করে রেখেছে । এই সরকারকে  উৎখাত করতে  না পরলে দেশের সকল নাগরিকদের চরম দূর্ভেোগ সইতে হবে  । সরকারের  ১২ আনা পতন  হয়েছে আর বাকী  আছে  ৪ আনা । সামনের  দিনগুলোতে  আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে হঠাতে হবে আর সেই সময় সাংবাদিকদের কলম কে  আরোও শানিত করতে হবে ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে  উপস্থিত  ছিলেন  দৈনিক বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেজাউল  হাসান রানু । তার বক্তব্যে  বলেন  – ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে ১৯৭৮ সাল থেকে সংবাদপত্র শিল্পের কালো দিবস হিসাবে  পালন করা হয় । এই  সরকার ১৪ বছরে ৯টি আইন  করেছে সরকার সাংবাদিকদের আটকাতে । ২৫০০ সাংবাদিককে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট এর মাধ্যমে  মামলা দেওয়া  হয়েছে ।

আমন্ত্রিত অতিথি জাসদ সভাপতি রেজাউল বারী দীপন বলেন -আমরা  নামে বেনামে বাকশালের মধ্যেই  আছি । সংস্কার প্রয়োজন প্রতিটি  ক্ষেত্রে । যে দেশে প্রধান  বিচারপতিকে দেশ থেকে লাথি  দিয়ে  বের  করা হয় সেদেশে প্রতিটি মূহর্তই কালো । মূলত  আমাদের রাষ্ট্র ও  সংবিধানকে সংস্কার  করতে হবে ।  ভোচটর  সরকার  ফিরিয়ে  আনতে  হবে ।

সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,  বর্তমান সরকার  বিগত ১৫ বছরে দিগন্ত  টেলিভিশন, ইসলামিক  টেলিভিশন , দৈনিক  আমার দেশ সহ অসংখ্য পত্রপত্রিকা, অনলাইন পত্রিকাও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিক  ইউনিয়সনর  সিনিয়র সদস্য বিশিষ্ট  সাংবাদিক আলহাজ্ব মোমিনুল  আসলাম শাহীন বলেন- বিগত সময়ে  ১১৩৬টি  গণমাধ্যমের বিভিন্ন শাখা বন্ধ  হয়েছে । ১৬টি অনলাইন পোর্টাল স্হগিত করা হয়েছে যার মধ্যে মফস্বল শহর  এই  বগুড়ারও ২টি রয়েছে ।

আরোচনা সভায়  আরোও  বক্তব্য  রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার  সভাপতি  মির্জা  সেলিম  রেজা , মীর সাজ্জাদ আলী  সন্তোষ ,   ইকবাল হোসেন, হাবিবুর  রহমান আকন্দ , সাইফুল  ইসলাম , ইনছান আলী শেখ, এস এম আবু  সাঈদ, সাঈদুর রহমান সাজু, মাহফুজ  মন্ডল , আবুল  কালাম আজাদ , আব্দুর  রহিম,  সহ  আরোও অনেক সিনিয়র  সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ  । সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সিনিয়র  সদস্য আব্দুল  ওয়াদুদের সঞ্চালনায়   আলোচনা সভায়  বগুড়ায়  কর্মরত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, টেলিভিশনের সাংবাদিকবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন ।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় সংবাদপত্র কালোদিবস পালিত

আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

আজ ১৬ জুন রোববার। বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পের কালো দিবস। ১৯৭৫ সালের এ দিনে তৎকালীন সরকার চারটি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ছাড়া বাকি সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। এ কারণে ১৯৭৮ সালে অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দিনটিকে কালো দিবস ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে সাংবাদিক সমাজ প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বেলা  ৩ টায় টিএমএসএস মহিলা মার্কেটের  সেমিনার  হলে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া   আলোচনা সভার আয়োজন করে ।

প্রধান অতিথির  বক্তব্যে দৈনিক বগুড়ার  প্রকাশক ও বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল  করিম  বাদশা বলেন- সাংবাদিকরা হলো স্বৈরশাসকের  বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার । বর্তমান সরকার ফ্যসিবাদী কায়দায় সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করে রেখেছে । এই সরকারকে  উৎখাত করতে  না পরলে দেশের সকল নাগরিকদের চরম দূর্ভেোগ সইতে হবে  । সরকারের  ১২ আনা পতন  হয়েছে আর বাকী  আছে  ৪ আনা । সামনের  দিনগুলোতে  আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে হঠাতে হবে আর সেই সময় সাংবাদিকদের কলম কে  আরোও শানিত করতে হবে ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে  উপস্থিত  ছিলেন  দৈনিক বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেজাউল  হাসান রানু । তার বক্তব্যে  বলেন  – ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে ১৯৭৮ সাল থেকে সংবাদপত্র শিল্পের কালো দিবস হিসাবে  পালন করা হয় । এই  সরকার ১৪ বছরে ৯টি আইন  করেছে সরকার সাংবাদিকদের আটকাতে । ২৫০০ সাংবাদিককে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট এর মাধ্যমে  মামলা দেওয়া  হয়েছে ।

আমন্ত্রিত অতিথি জাসদ সভাপতি রেজাউল বারী দীপন বলেন -আমরা  নামে বেনামে বাকশালের মধ্যেই  আছি । সংস্কার প্রয়োজন প্রতিটি  ক্ষেত্রে । যে দেশে প্রধান  বিচারপতিকে দেশ থেকে লাথি  দিয়ে  বের  করা হয় সেদেশে প্রতিটি মূহর্তই কালো । মূলত  আমাদের রাষ্ট্র ও  সংবিধানকে সংস্কার  করতে হবে ।  ভোচটর  সরকার  ফিরিয়ে  আনতে  হবে ।

সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,  বর্তমান সরকার  বিগত ১৫ বছরে দিগন্ত  টেলিভিশন, ইসলামিক  টেলিভিশন , দৈনিক  আমার দেশ সহ অসংখ্য পত্রপত্রিকা, অনলাইন পত্রিকাও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিক  ইউনিয়সনর  সিনিয়র সদস্য বিশিষ্ট  সাংবাদিক আলহাজ্ব মোমিনুল  আসলাম শাহীন বলেন- বিগত সময়ে  ১১৩৬টি  গণমাধ্যমের বিভিন্ন শাখা বন্ধ  হয়েছে । ১৬টি অনলাইন পোর্টাল স্হগিত করা হয়েছে যার মধ্যে মফস্বল শহর  এই  বগুড়ারও ২টি রয়েছে ।

আরোচনা সভায়  আরোও  বক্তব্য  রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার  সভাপতি  মির্জা  সেলিম  রেজা , মীর সাজ্জাদ আলী  সন্তোষ ,   ইকবাল হোসেন, হাবিবুর  রহমান আকন্দ , সাইফুল  ইসলাম , ইনছান আলী শেখ, এস এম আবু  সাঈদ, সাঈদুর রহমান সাজু, মাহফুজ  মন্ডল , আবুল  কালাম আজাদ , আব্দুর  রহিম,  সহ  আরোও অনেক সিনিয়র  সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ  । সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সিনিয়র  সদস্য আব্দুল  ওয়াদুদের সঞ্চালনায়   আলোচনা সভায়  বগুড়ায়  কর্মরত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, টেলিভিশনের সাংবাদিকবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন ।