অভিষেক নেতৃত্বেই রেকর্ড জয় । এই মুহুর্তে লিটন দাস নিশ্চই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেন। মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে ঢাকা টেস্টের একমাত্র ম্যাচে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যবধানে জয় লাভ করল বাংলাদেশ ।
মিরপুরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এক মাত্র টেস্টে লিটন দাসের দল জিতল ৫৪৬ রানে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রানের বিচারে এটি তৃতীয় বড় জয়। গত ৮৯ বছরে এত বড় ব্যবধানে আর কোনও দল টেস্ট জিততে পারেনি। এটি বাংলাদেশের সবথেকে বড় ব্যবধানে টেস্ট জেতার রেকর্ড।
মিরপুরের স্কোরবোর্ডে চোখ রাখলে বাংলাদেশের একচেটিয়া দাপট বোঝা যাবে। টেস্ট ক্রিকেটে আফগানিস্তানে সামর্থ খুব সয়াধারন কিছু না হলেও তাদের রয়েছে বিশ্বনন্দিত কিছু খেলোয়াড় , বিশেষ করে বলা যায় আফগান স্পিন ত্রাস রশিদ খান যিনি খেলেননি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তাতে অবশ্য লিটনদের কৃতিত্ব কমিয়ে দেয়া যায়না । বাংলাদেশ দু’ইনিংসে করেছে যথাক্রমে ৩৮২ রান এবং ৪ উইকেটে ৪২৫ রান। জবাবে আফগানিস্তানের দু’ইনিংসের রান যথাক্রমে ১৪৬ এবং ১১৫। আফগানদের দুই ইনিংসের মোট রানের থেকে একাই ৯ রান বেশি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত! তিনি প্রথম ইনিংসে ১৪৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রান করেন।
টেস্ট ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের দখলে । ১৯২৮ সালে তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ৬৭৫ রানের পাহাড়সম রানের ব্যবধানে । এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আবার সেই অস্ট্রেলিয়া। তারা ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারিয়ে াগের হারের প্রতিশোধ নেয়। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ৫৪৬ রানে জয় থাকছে এই তালিকার তৃতীয় স্থানে। এর আগে বাংলাদেশের রানের ব্যাবধানে সব থেকে বড় টেস্ট জয় ছিল জ়িম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ২২৬ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
পাঁচ দিনের ম্যাচ সোয়া তিন দিনে জিতেছেন লিটনরা। রান তুলেছেন এক দিনের ক্রিকেটের মেজাজে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ওভার প্রতি সংগ্রহ ৪.৪৪ রান । আর দ্বিতীয় ইনিংসে ওভার প্রতি ৫.৩১ রান! ওডিয়াই মেজাজে টেস্টে ব্যাট করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
জয়ের জন্য ৬৬২ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন আফগানরা। চাপের মুখে কার্যত তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়েছে হাসমতুল্লাহ শাহিদির দল। প্রথম ইনিংসে কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারেই ব্যর্থ আফগানরা। তিন নম্বরে নেমে রহমত শাহ করেন সর্বোচ্চ ৩০ রান । করিম জানাতের সংগ্রহ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮। তৃতীয় সর্বোচ্চ অতিরিক্ত খাত থেকে ১৬। বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদরা। শরিফুল ২৮ রানে ৩ উইকেট এবং তাসকিন ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং এবাদত হোসেন।