
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটিতে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রতীক লাঙ্গল এর ভেতরে দুই পক্ষের মাঝে শুরু হয়েছে খোলাখুলি লড়াই। এই আসনে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দুজনই আলাদাভাবে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। রওশন এরশাদ নির্বাচন কমিশনের কাছে তার দেয়া মনোনীত প্রার্থী কাজী মামুনুর রশিদের জন্য লাঙ্গল বরাদ্দের একমাত্র অধিকারী হিসাবে নির্বাচনী প্রতীক লাঙ্গল চেয়েছেন। এদিকে জি এম কাদেরও বিদিশাপন্থি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আনিসের জন্য লাঙ্গল প্রতীক চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন। পার্টির শীর্ষ দুই নেতার এই দ্বন্দ্বের জেরে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই পার্টিতে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন দলটির নেতারা। ২০০০ সালের ৯ মার্চ হাইকোর্টের দেয়া একটি আদেশের বিষয় উল্লেখ করে রওশনপন্থিরা দাবি করছেন- ওই রায় অনুযায়ী লাঙ্গলের যৌথ মালিক প্রয়াত এইচএম এরশাদ ও রওশন এরশাদ। তবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব বিষয় বর্তমানে অপ্রাসঙ্গিক। পরিস্থিতি হাস্যকর পর্যায়ে যাচ্ছে বিধায় রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমঝোতার চেষ্টা করছেন। জি এম কাদের হয়তো দাবি মানবেন বা রওশন এরশাদও আগ্রহী দল নিয়ে টানাটানি না করে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির জন্য প্রয়োজনে প্রার্থী মামুনুর রশীদ আবেদন উহ্য করবেন। ৩ বার বড় ধরণের দল ভাঙার পরঅ বারংবার আবারও ভাঙন একটি দলের জন্য ভালো নয়।