ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে হল বাবা দিবস

 

বাবা দিবস নিয়ে প্রতি বছর থাকে নানা আয়োজন। অনেকটা ঘটা করেই সন্তানেরা পিতাকে এই দিনে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানায়। কিন্তু জানেন কি কিভাবে এলো এই বাবা দিবস? চলুন জানি সেই কথা।

 

১৯০৭ সালের ডিসেম্বর ভার্জিনিয়ার মোনোনগাহ্‌য় ভয়াবহ খনি বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৩৬০ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন সন্তানের বাবা। এতে এক হাজার শিশু পিতৃহারা হয়ে যায়। পুরো ঘটনাটা পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টবাসী গ্রেস গোল্ডেন ক্লেটন এর মনে বিষাদ এর সৃষ্টি করে। গ্রেস নিজেও পিতৃহারা ছিলেন।  তিনি স্থানীয় মেথোডিস্ট গির্জার যাজককে শহীদ বাবাদের সম্মানে ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই রোববার গ্রেসের মৃত বাবার জন্মদিনটিকে বাবা দিবস হিসেবে উৎসর্গ করার অনুরোধ করেন। সেই প্রথম বিশ্বে ছোট্ট একটি চার্চে বাবা কে উৎসর্গ করে বাবা দিবস যাপন করা হয়েছিল।

 

১৯০৯ সালের আগে ওয়াশিংটনে বাবা দিবস বলে কোন বিশেষ দিন ছিল না। সে সময় স্থানীয় গির্জায় সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক নারী পাদ্রীর কাছে মায়ের ভালোবাসা, মমতা ও ভূমিকা নিয়ে মা দিবস পালনের কথা শোনেন। তখন মা দিবস পালনের রীতি থাকলেও বাবা দিবস পালনের কোন রীতি নেই ভেবে একটা ভাবনা আসে তাঁর । ডড তার বাবাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। গৃহযুদ্ধ চলকালীন তার বাবা উইলিয়াম স্মার্ট ছিলেন একজন সৈনিক। ষষ্ঠ সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তার স্ত্রী মারা যান। এরপর শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও ছয় সন্তানকে একাই লালন-পালন করেন উইলিয়াম। তাই বাবা দিবস পালনের আবেদন জানিয়ে তিনি স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এবং সে বছরের ৫ জুন নিজ বাবার জন্মদিনের দিন বাবা দিবস ধার্য করার অনুমতি চান। তবে হাতে কম সময় থাকায় ওই বছরের ১৯ জুন প্রথমবারের মত ওয়াশিংটনে বাবা দিবস পালন করা হয়।

১৯৮৫ সালে আমেরিকার রাষ্ট্রপক্ষ একটি ঐতিহাসিক ফলক স্থাপনের মাধ্যমে ফেয়ারমন্টকে বাবা দিবসের জন্মস্থান হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে প্রতি বাবা দিবসে গির্জায় বাবা দিবসের মাহাত্ম বর্ণনা করা হতো।
বাবা দিবস এর কথা আসলে অনেকে বিদ্রুপের সুরে কথা বলত। মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা সহানুভূতিশীল ছিল, বাবা দিবসে ঠিক তার উল্টো দেখা যেত।

 

অথচ একজন বাবা এবং একজন মা দুইজনই সন্তানের অভিভাবক হিসাবে একে অন্যের পরিপূরক। অনেক বাবা তাদের মা হারা সন্তানদের  একাই বাবা – মা দুজনের আদর দিয়ে বড় করেছেন সাথে আয়ও করেছেন। সেসব সংগ্রামের গল্পগুলো উহ্য থেকে যায় কারণ পুরুষরা তাদের কষ্ট সচরাচর কাউকে বলে না। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তান হুমায়ুনের জীবনের বিনিময়ে নিজের জীবন ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন তিনি।

 

১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন করার একটি বিল তুলে ধরা হয়। ১৯১৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বিলটি অনুমোদন করেন ও তার সাতবছর পর ১৯২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম প্রেসিডেন্ট কেলভিন ক্যুলিজ বাবা দিবসকে জাতীয় দিবসের মর্যাদা দেন। ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন রাষ্ট্রীয়ভাবে জুনের তৃতীয় রোববার বাবা দিবসকে ছুটির দিন বলে ঘোষণা দেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশে বাবাদের সম্মানে পালিত হয়ে আসছে বাবা দিবস।

 

বাবার ভালোবাসাটা এমন স্বার্থহীন যার মাঝে অনেক শ্রম, ঘাম, কষ্ট লুকিয়ে থাকে। দেখা যায়না। সেই বাবাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। সন্তানের শখ আহ্লাদ পূরণ করতে, ভালো জীবনমান লেখাপড়া করাতে , আয় ব্যায়ের খাতার হিসেব কষতে মাথায় অনেক না বলা বোঝা নিয়ে অধিক দুশ্চিন্তা ও শ্রম দিতে দিতে বাবারা পৃথিবী থেকে আগেই চলে যায়। সন্তানের হাসিমুখ দেখতে সব বাবারই ইচ্ছে হয়। অনেক বাবা অনেক অসুস্থতা নিয়ে তার কর্মস্থলে যেতে থাকেন এবং কর্মরত অবস্থাতেই মারা যান শুধু পরিবারের মানুষগুলোর ভরণপোষণ দিতে হবে দেখে।

 

বাবাই সেই ব্যক্তি যিনি  দুঃসহ জীবনের হুমকি আছে এমন পেশায় নিয়োজিত থেকে সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করেন। যতদিন বাবা থাকেন সন্তানের মাথার ওপর একটা বিশাল বটবৃক্ষ থাকে যার ছায়াতলে এসে সমস্ত আবদার, অভিযোগ অনুযোগ, অনুনয় করা যায় এবং বিনিময়ে মেলে চাওয়ার চেয়েও বেশি কোন রকম স্বার্থহীন দ্ব্যার্থহীন ভালোবাসা।

 

বাবার প্রতিটি কষ্টের অর্জন সন্তান কখনো নিজে সামান্য শ্রম না দিয়েও পুরোটাই দাবী করে ভোগ বিলাস করতে পারে। এ এক অন্যরকম সুখের জীবন। বিপদ হলে বাবারা ছুটে যায় সন্তানকে ছুটিয়ে বাঁচিয়ে সারিয়ে নিয়ে আসতে। পিতৃ দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে তাদের বাবাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া পিতৃ দিবস পালনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে বাবাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তানরা মূল্যায়ন করছে, এ বিষয়টি বাবাদের জন্যেও অন্যরকম তৃপ্তির।

 

ধরণীতে অনেক সন্তানই আছে, যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়, বাবা মা কে রেখে দূরে চলে যায় কিভাবে বাবা মা বৃদ্ধ বয়েসে দুর্বল শরীর নিয়ে বেঁচে আছে জানার আগেই লাশের জানাজার দাওয়াত পায়। অনেকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে সেই বাবাকে যে বাবা নিজে না খেয়ে সন্তানকে পেট ভরে খাইয়ে কোনদিন কষ্ট বুঝতে না দিয়ে অমানুষ অসুরে পরিণত করেছে। সেসব সন্তানরা অন্তত বাবা দিবসে তাদের বাবার কাছে ফিরে আসুক।

 

বাবা দিবসে বাবার পায়ের জুতোটা একবার পরে অনুভব করুক, বাবার অফিস ফেরা ঘামে ভেজা জামার নিংড়ানো ঘামে নিজের শরীরের রক্ত মাংস চর্বি খুঁজে পাক, সেই বাবাকে সেভাবেই যত্ন করুক যেভাবে ছোটবেলায় বাবার ঘাড়ে চড়ে মেলায় হাসিমুখে ঘুরে বেড়াতো।

3 thoughts on “যেভাবে হল বাবা দিবস

  1. অনেক সুন্দর আর্টিকেল। ভালো লাগলো।

    1. ধন্যবাদ মতামতের জন্য। বাংলাপ্রেসের সাথেই থাকুন।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যেভাবে হল বাবা দিবস

আপডেট সময় : ১১:০০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

 

বাবা দিবস নিয়ে প্রতি বছর থাকে নানা আয়োজন। অনেকটা ঘটা করেই সন্তানেরা পিতাকে এই দিনে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানায়। কিন্তু জানেন কি কিভাবে এলো এই বাবা দিবস? চলুন জানি সেই কথা।

 

১৯০৭ সালের ডিসেম্বর ভার্জিনিয়ার মোনোনগাহ্‌য় ভয়াবহ খনি বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৩৬০ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন সন্তানের বাবা। এতে এক হাজার শিশু পিতৃহারা হয়ে যায়। পুরো ঘটনাটা পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টবাসী গ্রেস গোল্ডেন ক্লেটন এর মনে বিষাদ এর সৃষ্টি করে। গ্রেস নিজেও পিতৃহারা ছিলেন।  তিনি স্থানীয় মেথোডিস্ট গির্জার যাজককে শহীদ বাবাদের সম্মানে ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই রোববার গ্রেসের মৃত বাবার জন্মদিনটিকে বাবা দিবস হিসেবে উৎসর্গ করার অনুরোধ করেন। সেই প্রথম বিশ্বে ছোট্ট একটি চার্চে বাবা কে উৎসর্গ করে বাবা দিবস যাপন করা হয়েছিল।

 

১৯০৯ সালের আগে ওয়াশিংটনে বাবা দিবস বলে কোন বিশেষ দিন ছিল না। সে সময় স্থানীয় গির্জায় সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক নারী পাদ্রীর কাছে মায়ের ভালোবাসা, মমতা ও ভূমিকা নিয়ে মা দিবস পালনের কথা শোনেন। তখন মা দিবস পালনের রীতি থাকলেও বাবা দিবস পালনের কোন রীতি নেই ভেবে একটা ভাবনা আসে তাঁর । ডড তার বাবাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। গৃহযুদ্ধ চলকালীন তার বাবা উইলিয়াম স্মার্ট ছিলেন একজন সৈনিক। ষষ্ঠ সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তার স্ত্রী মারা যান। এরপর শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও ছয় সন্তানকে একাই লালন-পালন করেন উইলিয়াম। তাই বাবা দিবস পালনের আবেদন জানিয়ে তিনি স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এবং সে বছরের ৫ জুন নিজ বাবার জন্মদিনের দিন বাবা দিবস ধার্য করার অনুমতি চান। তবে হাতে কম সময় থাকায় ওই বছরের ১৯ জুন প্রথমবারের মত ওয়াশিংটনে বাবা দিবস পালন করা হয়।

১৯৮৫ সালে আমেরিকার রাষ্ট্রপক্ষ একটি ঐতিহাসিক ফলক স্থাপনের মাধ্যমে ফেয়ারমন্টকে বাবা দিবসের জন্মস্থান হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে প্রতি বাবা দিবসে গির্জায় বাবা দিবসের মাহাত্ম বর্ণনা করা হতো।
বাবা দিবস এর কথা আসলে অনেকে বিদ্রুপের সুরে কথা বলত। মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা সহানুভূতিশীল ছিল, বাবা দিবসে ঠিক তার উল্টো দেখা যেত।

 

অথচ একজন বাবা এবং একজন মা দুইজনই সন্তানের অভিভাবক হিসাবে একে অন্যের পরিপূরক। অনেক বাবা তাদের মা হারা সন্তানদের  একাই বাবা – মা দুজনের আদর দিয়ে বড় করেছেন সাথে আয়ও করেছেন। সেসব সংগ্রামের গল্পগুলো উহ্য থেকে যায় কারণ পুরুষরা তাদের কষ্ট সচরাচর কাউকে বলে না। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তান হুমায়ুনের জীবনের বিনিময়ে নিজের জীবন ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন তিনি।

 

১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন করার একটি বিল তুলে ধরা হয়। ১৯১৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বিলটি অনুমোদন করেন ও তার সাতবছর পর ১৯২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম প্রেসিডেন্ট কেলভিন ক্যুলিজ বাবা দিবসকে জাতীয় দিবসের মর্যাদা দেন। ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন রাষ্ট্রীয়ভাবে জুনের তৃতীয় রোববার বাবা দিবসকে ছুটির দিন বলে ঘোষণা দেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশে বাবাদের সম্মানে পালিত হয়ে আসছে বাবা দিবস।

 

বাবার ভালোবাসাটা এমন স্বার্থহীন যার মাঝে অনেক শ্রম, ঘাম, কষ্ট লুকিয়ে থাকে। দেখা যায়না। সেই বাবাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। সন্তানের শখ আহ্লাদ পূরণ করতে, ভালো জীবনমান লেখাপড়া করাতে , আয় ব্যায়ের খাতার হিসেব কষতে মাথায় অনেক না বলা বোঝা নিয়ে অধিক দুশ্চিন্তা ও শ্রম দিতে দিতে বাবারা পৃথিবী থেকে আগেই চলে যায়। সন্তানের হাসিমুখ দেখতে সব বাবারই ইচ্ছে হয়। অনেক বাবা অনেক অসুস্থতা নিয়ে তার কর্মস্থলে যেতে থাকেন এবং কর্মরত অবস্থাতেই মারা যান শুধু পরিবারের মানুষগুলোর ভরণপোষণ দিতে হবে দেখে।

 

বাবাই সেই ব্যক্তি যিনি  দুঃসহ জীবনের হুমকি আছে এমন পেশায় নিয়োজিত থেকে সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করেন। যতদিন বাবা থাকেন সন্তানের মাথার ওপর একটা বিশাল বটবৃক্ষ থাকে যার ছায়াতলে এসে সমস্ত আবদার, অভিযোগ অনুযোগ, অনুনয় করা যায় এবং বিনিময়ে মেলে চাওয়ার চেয়েও বেশি কোন রকম স্বার্থহীন দ্ব্যার্থহীন ভালোবাসা।

 

বাবার প্রতিটি কষ্টের অর্জন সন্তান কখনো নিজে সামান্য শ্রম না দিয়েও পুরোটাই দাবী করে ভোগ বিলাস করতে পারে। এ এক অন্যরকম সুখের জীবন। বিপদ হলে বাবারা ছুটে যায় সন্তানকে ছুটিয়ে বাঁচিয়ে সারিয়ে নিয়ে আসতে। পিতৃ দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে তাদের বাবাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া পিতৃ দিবস পালনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে বাবাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তানরা মূল্যায়ন করছে, এ বিষয়টি বাবাদের জন্যেও অন্যরকম তৃপ্তির।

 

ধরণীতে অনেক সন্তানই আছে, যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়, বাবা মা কে রেখে দূরে চলে যায় কিভাবে বাবা মা বৃদ্ধ বয়েসে দুর্বল শরীর নিয়ে বেঁচে আছে জানার আগেই লাশের জানাজার দাওয়াত পায়। অনেকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে সেই বাবাকে যে বাবা নিজে না খেয়ে সন্তানকে পেট ভরে খাইয়ে কোনদিন কষ্ট বুঝতে না দিয়ে অমানুষ অসুরে পরিণত করেছে। সেসব সন্তানরা অন্তত বাবা দিবসে তাদের বাবার কাছে ফিরে আসুক।

 

বাবা দিবসে বাবার পায়ের জুতোটা একবার পরে অনুভব করুক, বাবার অফিস ফেরা ঘামে ভেজা জামার নিংড়ানো ঘামে নিজের শরীরের রক্ত মাংস চর্বি খুঁজে পাক, সেই বাবাকে সেভাবেই যত্ন করুক যেভাবে ছোটবেলায় বাবার ঘাড়ে চড়ে মেলায় হাসিমুখে ঘুরে বেড়াতো।