স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটারদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। সে বিষয়ে সঠিক তথ্য না দেয়ায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও এ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন রোববার বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থনের যে তালিকা তিনি (হিরো আলম) জমা দিয়েছেন, তাতে অনেকের সই ছিল না। যারা সই করেছেন, তারা অস্বীকার করেছেন। সঠিক তথ্য না দেয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে সেই সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থন লাগবে। তবে দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিলে শুধু দলীয় সমর্থন থাকলেই হয়।
ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। ফলে ৩ হাজার ২৫২ ভোটারের সই প্রয়োজন।
এ উপনির্বাচনে ১৫ জন মনোনয়নপত্র তুললেও অর্ধেকের বেশি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এ ছাড়া এরশাদের হাতে গড়া দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক তার ভাইয়ের কাছেই রইল। অর্থাৎ জি এম কাদেরের প্রার্থীই লাঙ্গল প্রতীক পেল।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ।
১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে৷ একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। বিধি অনুযায়ী হিরো আলমও আপিলের সুযোগ পাচ্ছেন।