গত ২৫ জানুয়ারি চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামান আলেশা মার্টের সব সম্পত্তি ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) বা জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী আলেশা মার্ট থেকে একটি মোটরসাইকেল কেনেন। কিন্তু সেটি যথাসময়ে না দেয়ায় ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার একটি চেক দেয়া হয়। আসামির ব্যাংকের নির্দিষ্ট তারিখে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বাদী আসামিকে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে মোটরসাইকেল দেয়া অথবা চেকের টাকা দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
আসামি তারপরও বাদীকে টাকা না দিলে গত বছরের ২২ আগস্ট বাদী আদালতে মামলা করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করে ২৫ জানুয়ারি উপস্থিত হওয়ার দিন ধার্য করলেও সেই তারিখে আসামি অনুপস্থিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এর আগে রাজধানীর বনানী থানার মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় আলেশা মার্টের সব সম্পত্তি অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) ও মঞ্জুরুল আলম শিকদারসহ চারজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। বিচারক আজ (বুধবার) তা মঞ্জুর করেছেন বলেও জানান তাপস কুমার পাল।