তালোড়া পৌরসভার মেয়র বিএনপির বহিস্কৃত নেতা জলিল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • ১৬৯৬ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার তালোড়া পৌরসভায় মেয়র বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত নেতা আব্দুল জলিল খন্দকার ।

বগুড়ার তালোড়া পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে জগ প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত নেতা আব্দুল জলিল খন্দকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট।

বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টার পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ফলাফল গণনার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও তালোড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান ফলাফলের ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, এবারের তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে  মেয়র পদে প্রতীক পেয়েছিলেন ৬ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আব্দুল জলিল খন্দকার জগ প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭। নৌকা প্রতীকে আমিরুল ইসলাম বকুল ২ হাজার ৯২৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

বাকিদের মধ্যে জাতীয় পার্টির উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম সাহিদ লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৯২টি।  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তালোড়া পৌর শাখার সহসভাপতি মাওলানা কামরুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে ১৩৯টি, তালোড়া পৌর বিএনপির বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হোসেন সরকার আবুল নারিকেল গাছ প্রতীকে ১ হাজার ৫৬৩ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আউলিয়া খন্দকার ইস্ত্রি প্রতীকে ১৮৩ টি ভোট পান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান আরও জানান, তালোড়া পৌরসভায় মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৭১ এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৫ জন। পৌর নির্বাচনে মোট ভোটগ্রহণ হয়েছে ৭৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এ ছাড়া পৌর নির্বাচনে ১২ জন সংরক্ষিত নারী ও ৩৯ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।

পৌরসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য ৯ কেন্দ্রে ১৯৬ জন পুলিশ, ৭২ জন আনসার ও ২ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।

তবে নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মাওলানা কামরুল ইসলাম গত ১৪ জুন নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন। ফলে তিনি পৌর নির্বাচনে আর অংশ নেননি। বরিশাল সিটি নির্বাচনে মুফতি ফয়জুল করিমের ওপর হামলার কারণে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ভোট বর্জন করেন কামরুল ইসলাম।

মেয়র পড়ে জয় লাভ করা আব্দুল জলিল খন্দকার তালোড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বিগত সময়ে দুবার তালোড়া পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ১৩ জুন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাকে বহিস্কার করা হয়। একই সঙ্গে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তালোড়ার আরও ১১ জন প্রার্থীকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তালোড়া পৌরসভার মেয়র বিএনপির বহিস্কৃত নেতা জলিল

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

বগুড়ার তালোড়া পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে জগ প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত নেতা আব্দুল জলিল খন্দকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট।

বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টার পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ফলাফল গণনার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও তালোড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান ফলাফলের ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, এবারের তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে  মেয়র পদে প্রতীক পেয়েছিলেন ৬ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আব্দুল জলিল খন্দকার জগ প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭। নৌকা প্রতীকে আমিরুল ইসলাম বকুল ২ হাজার ৯২৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

বাকিদের মধ্যে জাতীয় পার্টির উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম সাহিদ লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৯২টি।  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তালোড়া পৌর শাখার সহসভাপতি মাওলানা কামরুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে ১৩৯টি, তালোড়া পৌর বিএনপির বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হোসেন সরকার আবুল নারিকেল গাছ প্রতীকে ১ হাজার ৫৬৩ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আউলিয়া খন্দকার ইস্ত্রি প্রতীকে ১৮৩ টি ভোট পান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান আরও জানান, তালোড়া পৌরসভায় মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৭১ এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৫ জন। পৌর নির্বাচনে মোট ভোটগ্রহণ হয়েছে ৭৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এ ছাড়া পৌর নির্বাচনে ১২ জন সংরক্ষিত নারী ও ৩৯ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।

পৌরসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য ৯ কেন্দ্রে ১৯৬ জন পুলিশ, ৭২ জন আনসার ও ২ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।

তবে নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মাওলানা কামরুল ইসলাম গত ১৪ জুন নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন। ফলে তিনি পৌর নির্বাচনে আর অংশ নেননি। বরিশাল সিটি নির্বাচনে মুফতি ফয়জুল করিমের ওপর হামলার কারণে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ভোট বর্জন করেন কামরুল ইসলাম।

মেয়র পড়ে জয় লাভ করা আব্দুল জলিল খন্দকার তালোড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বিগত সময়ে দুবার তালোড়া পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ১৩ জুন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাকে বহিস্কার করা হয়। একই সঙ্গে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তালোড়ার আরও ১১ জন প্রার্থীকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।