
‘সুদিন কাছে এসো ভালো বাসি একসাথে সবকিছুই’ , দীর্ঘ লড়াই শেষে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে অন্য সুরলোকে চলে গেলেন তাপস বাপি দাস। বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তাপস বাপি দাস গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার
দিকে এস এস কে এম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ফুসফুসের ক্যানসার তৃতীয় পর্যায় ভুগছিলেন তিনি। ঠিক ভাবে খেতেও পারছিলেন না । ওজনও কমে গিয়েছিল। তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৭০ এর কাছাকাছি। অনেক দিন যাবত হাসপাতালে
প্রতিনিয়ত দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। অর্থকষ্ট থাকায় সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না তাঁর বিষয়টি জানিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন ফসিলসের প্রতিষ্ঠাতা রূপম ইসলাম তারপর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ২০১৮
সালেশিল্পীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার চিকিৎসার টাকা জোগাতে জন্য পথে নেমেছিলেন এপার ওপার বাংলার শিল্পীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না বাপির। দিন কুড়ি আগে পর্যন্তও তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ
আরফিরলেন না। দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হল শিল্পীকে। শারীরিক অবস্থার বারবার অবনতির কারণে মাঝেমধ্যেই হাসপাতাল থেকে বাসা এদিক ওদিক করা হচ্ছিল। কিন্তু এ বার আর তাঁর বাড়ি ফেরা হল না। এসএসকেএম থেকে
বাপির দেহ নিয়ে আসা হয় তাঁর বাসভবনে। তাঁর স্ত্রী সুতপা সংগ্রাম করে গেছেন আপোষহীন ভাবে। গতকাল এক টুইটে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি তাপস দাস (বাপি দা) এর মৃত্যুতে শোকাহত, যিনি বাংলায় ভারতের প্রথম রক ব্যান্ড
মহিনের ঘোড়াগুলির অংশ ছিলেন। তিনি টার্মিনাল অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আমাদের সরকার প্রতিভাবান শিল্পীর পরিবারের প্রতি আমাদের বিনীত সমর্থন হিসাবে কয়েক মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে তার সম্পূর্ণ চিকিত্সার ব্যয়
বহন করেছিল। শিল্পীর স্ত্রী সুতপা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং তার ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা।’ ঢাকায় বাপীদার জন্য আয়োজিত ট্রিবিউট কনসার্ট যথাসময়ে শুক্রবার ১৪ই জুলাই বিকেল ৪ টায় হবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। টিকেট প্রাপ্তিস্থান
সাইন্সল্যাব এ্যাকুয়াস্টিকা, মেটাল ফ্রিক টি শার্ট ( বাড্ডা ও মিরপুর ২), মেঠোপথ ( আজিজ সুপার মার্কেট)।