অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে কাঁচা মরিচ ও টমেটো আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
রোববার (২৫ জুন) এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তিনি জানান, ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ এবং ৫৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন টমেটো আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এতে দ্রুত কাঁচা মরিচের দাম কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। মহল্লার দোকান থেকে নিলে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। খুচরায় ২৫০ গ্রাম কিনলে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও আধা কেজি কিনলে বিক্রেতারা নিচ্ছেন ১৫০ টাকা। ১০০ গ্রাম নিলে দাম রাখছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, ‘আমাদের দেশে এ সময়ে মরিচের উৎপাদন কমে আসে। বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা জানিয়েছে, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ টাকার ওপরে উঠেছে, যা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকার আশা করছে, দ্রুত বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কমে আসবে।
সঙ্গনিরোধ শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কথা বলে আমাদের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়েছে।
আমদানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারতের সীমান্ত এলাকার বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে আছে। ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে এলে সব খরচ বাদ দিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দামর ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।