১৪৪৪ হিজরির পবিত্র হজ শুরু আজ। প্রতি হিজরি বছরের মত আজ ৯ জিলহজ , মঙ্গলবার (২৭ জুন) আরাফাত ময়দানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ নামিরা থেকে হজের খুতবা ও নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে হজের মূল
আনুষ্ঠানিকতা। আজ সূর্যোদয় থেকে ক্ষমা প্রার্থনা ও ইবাদত-বন্দেগি চলবে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত। জাবালে রহমত নামক পাহাড় থেকে প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের পূর্ব দিকের পাথরের সিঁড়িতে একটি মঞ্চ ও মিম্বার ছিল। সে সিঁড়ির ৬ষ্ঠ ধাপে
দাঁড়িয়ে ৯ জিলহজ হজের খুতবা প্রাদান করা হতো। বর্তমানে সেই মঞ্চ ও মিম্বার নেই তাই এখন জাবালে রহমত থেকেও হজের খুতবা দেওয়া হয় না। এবার আরাফাতের মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা ও ভাষণ দেবেন সৌদি আরবের সিনিয়র
উলামা কাউন্সিলের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ। সমবেত স্বরে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ‘আমি হাজির,
হে আল্লাহ, আমি হাজির।’ লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক ‘হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই।’
ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক লা শারিকা লাক ‘সব প্রশংসা ও নেয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’ মুখরিত আরাফাতে এ দিনের আনুষ্ঠানিকতাকে মূল হজ বলা হয়।
বয়েস জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব ভেদাভেদ ভুলে শুধু দুই খণ্ড সাদা কাপড় শরীরে জড়িয়ে কেউ হেঁটে আবার কেউ বাসে করে মিনায় জড়ো হয়েছেন। মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার।
এখানে খোলা আকাশের নিচে ২৫ লাখ বর্গমি
টার জায়গাজুড়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লক্ষাধিক তাঁবু টাঙানো হয়েছে। মিনা এরই মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তাঁবুর শহরে পরিণত হয়েছে। সবাই একত্রিত হয়েছে আরাফাত ময়দানে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়
জানিয়েছে, ‘এ বছর, আমরা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ প্রত্যক্ষ করেছি। ইতিহাসে এবারই (২০২৩ সালে) সবচেয়ে বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে কাবা প্রাঙ্গণ। কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করেছেন বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি। গত
রবিবার (২৫ জুন) বিকেলে হজযাত্রীরা মক্কায় কাবাঘর তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ শুরু করেন। গতকাল সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে হজযাত্রীরা মিনার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এবার হাজিরা প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হজ করছেন।
এই গরমে জরুরী চিকিৎসার জন্য ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।