
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশের মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য সারাদেশে বিভিন্ন ঈদ্গাহ ও মসজিদগুলো লাল নীল সোনালি বাতিতে সাজানো হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হলে জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, হাইকোর্টের পাশে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহে এবার শামিয়ানা টাঙিয়ে সুন্দরভাবে নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লির স্থান সংকুলান হবে।
এছাড়া প্রতি বছরের মতো এবারও পল্টনের বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচ দফায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এরপর দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশ বিদের থেকে আসা হাজারো মুসল্লীর জমায়েতে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রতিবছরের মতো এবারো সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এটি এই ময়দানে ১৯৫তম ঈদুল আজহার জামাত হবে। এবারও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে আশপাশের জেলার লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ঈদের ট্রেন চলাচল করবে।
‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১’ ভৈরব থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে কিশোরগঞ্জ আসবে সকাল ৮টায়। আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে ভৈরব পৌঁছবে দুপুর ২টায়। ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২’ ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে সকাল পৌনে ৬টায় এবং এসে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবার কিশোরগঞ্জ থেকে দুপুর ১২টায় যাত্রা করে ময়মনসিংহ থামবে বিকাল ৩টায়।
বন্দর নগী চট্টগ্রামে প্রথম ও প্রধান জামাতভবে সকাল সাড়ে সাতটায়। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে দ্বিতীয় দফায় জামাত হবে সকাল সাড়ে আটটায়।
রংপুরে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবার কথা কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে প্রধান জামাত হবে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রথম দফায় সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় দফায় সকাল ৯টায়। সকাল সাড়ে ৭টায় পুলিশ লাইন্স মাঠেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঝড় বৃষ্টি হলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত হবে, সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত এবং সকাল ১০টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা মডেল মসজিদেও ঈদের জামাতের আয়োজন প্রস্তুত করা হয়েছে সকাল সাড়ে ৭টায়।
বরিশালে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায় নগরের বান্দ রোড হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। এছাড়া নগরের কয়েকটি বড় মসজিদে দুইটি করে ভিন্ন সময়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ধর্মপ্রাণ সিলেট নগরীর প্রধান ঈদের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে। দ্বিতীয় বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে একই সময়ে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার মসজিদে।
ময়মনসিংহে প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় ও সকাল পৌনে ৯টায় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে।