জুন মাসে মাসিক মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মে মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে বেড়েছে, যেখানে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি জুনে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল। গ্রামীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯.৩২ শতাংশ থেকে জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৫ শতাংশে।
শহরে সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে জুনে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি (মে) ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) ওপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতির হার একটি নির্দিষ্ট সেটের চূড়ান্ত পণ্য এবং পরিষেবার মূল্যের গড় পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে, যা গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বাজারের ঝুড়িকে প্রতিনিধিত্ব করে।
সিপিআই রিলিজ জনসংখ্যার তিনটি গোষ্ঠীকে জাতীয়, শহুরে ও গ্রামীণ হিসেবে উপস্থাপন করে। এপ্রিল ২০২৩ থেকে বিবিএস দ্বারা সিপিআই সংকলনের আধুনিকীকরণ মূলত আইএমএফ-এর সর্বশেষ ২০২০ সিপিআই ম্যানুয়াল অনুসরণ করে বাংলাদেশে সিপিআই সংকলনের একটি দৃষ্টান্ত পরিবর্তন।
তথ্যসূত্র: বাসস