ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ সুপারের আশ্বাসে মালিক-শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত

ছবি- বাংলাপ্রেস

পুলিশ সুপারের আশ্বাসে মালিক-শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালক ও চালকের সহকারির মুক্তিসহ ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে বগুড়ার পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির নেতৃবৃন্দ পরবর্তী কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তবে দাবি আদায়ে প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে আবার কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব জানিয়েছেন, বগুড়ার বাস-মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। শহরের চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জানা গেছে, গত সোমবার সকালে দুপচাঁচিয়ায় বাসের ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় বাসচালক ও তার সহকারীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটি। তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে।

মালিক-শ্রমিক ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি হলো- দুর্ঘটনার কারণে করা বাসচালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার; দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রত্যাহার; মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করা; মহাসড়কের পাশে থাকা দোকানপাট সরানো এবং দুর্ঘটনার বাস ভাংচুর করার এর ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

এ নিয়ে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন মালিক-শ্রমিক নেতারা। বৈঠক শেষে তারা সমাবেশস্থলে এসে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে পরিবহন মালিক নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুপচাঁচিয়ায় সেদিন যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে বাসচালক ও চালকের সহকারির কোনো দোষ ছিল না। ভ্যানের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তারপর দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ঘটনা তদন্ত না করে বাসমালিক ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা নেন। এর প্রতিবাদে আমরা ৫ দফা দাবি পেশ করি। আজ সকালে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা। আমরা ১০ জুলাই পর্যন্ত দেখব। এরমধ্যে বাসচালক ও তার সহকারীর জামিন না হলে, আবার কর্মসূচিতে ফিরে আসব।’

এ সময় বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

আরও বক্তব্য দেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুল এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শাহ্ আখতারুজ্জামান ডিউক, আব্দুল মান্নান মন্ডল, তৌফিক হাসান ময়না, শফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, বাবর আলী মোল্লা, যাদু সরকার, ফিরোজ উদ্দিন লেবু, রাসেল মন্ডল, সাখাওয়াত হোসেন, শেখ জালাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান মানিক, নুর আমিন মন্ডল, লুৎফর রহমান পঁচা, জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ সুপারের আশ্বাসে মালিক-শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

পুলিশ সুপারের আশ্বাসে মালিক-শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালক ও চালকের সহকারির মুক্তিসহ ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে বগুড়ার পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির নেতৃবৃন্দ পরবর্তী কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তবে দাবি আদায়ে প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে আবার কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব জানিয়েছেন, বগুড়ার বাস-মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। শহরের চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জানা গেছে, গত সোমবার সকালে দুপচাঁচিয়ায় বাসের ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় বাসচালক ও তার সহকারীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটি। তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে।

মালিক-শ্রমিক ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি হলো- দুর্ঘটনার কারণে করা বাসচালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার; দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রত্যাহার; মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করা; মহাসড়কের পাশে থাকা দোকানপাট সরানো এবং দুর্ঘটনার বাস ভাংচুর করার এর ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

এ নিয়ে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন মালিক-শ্রমিক নেতারা। বৈঠক শেষে তারা সমাবেশস্থলে এসে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে পরিবহন মালিক নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুপচাঁচিয়ায় সেদিন যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে বাসচালক ও চালকের সহকারির কোনো দোষ ছিল না। ভ্যানের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তারপর দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ঘটনা তদন্ত না করে বাসমালিক ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা নেন। এর প্রতিবাদে আমরা ৫ দফা দাবি পেশ করি। আজ সকালে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা। আমরা ১০ জুলাই পর্যন্ত দেখব। এরমধ্যে বাসচালক ও তার সহকারীর জামিন না হলে, আবার কর্মসূচিতে ফিরে আসব।’

এ সময় বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

আরও বক্তব্য দেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুল এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শাহ্ আখতারুজ্জামান ডিউক, আব্দুল মান্নান মন্ডল, তৌফিক হাসান ময়না, শফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, বাবর আলী মোল্লা, যাদু সরকার, ফিরোজ উদ্দিন লেবু, রাসেল মন্ডল, সাখাওয়াত হোসেন, শেখ জালাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান মানিক, নুর আমিন মন্ডল, লুৎফর রহমান পঁচা, জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।