সিলেটে বর্তমানে ভ্রমণে নতুন আঙ্গিকে যুক্ত হয়েছে হাউজবোট নামের এক ধরণের বিলাসবহুল প্রমোদতরী। যারা একটু রিল্যাক্স ট্যুরে যান তারা এইসব প্রমোদতরীতে হাওরের পানির ওপর রাত কাটান। চমৎকার সুব্যবস্থা রয়েছে থাকা, খাওয়া ও রাত্রিযাপনের। স্বপ্নের মত করে সুন্দর করে সাজানো থাকে এইসব বোটের বেডরুম গুলো। প্রতি রাতের জন্য জনপ্রতি ৫হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুন্তে হয় এসব প্রমোদতরীতে।
তবে সম্প্রতি ঘটে গেল এক বিপত্তি। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পর্যটকবাহী “স্বপ্ন হাউজবোট” নামে পর্যটকবাহী একটি হাউজবোটের (নৌকার) ওয়াশরুমে একটি গোপন ক্যামেরা পর্যটকদের কাছে ধরা পড়েছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মধ্যেও আতংক ও অসন্তোষ দেখা গেছে। এমনকি উপজেলা সদরের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হাউজবোটে থাকা পর্যটক সাজিদুর রহমান বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ করার জন্য স্বপ্ন হাউজবোটকে বেছে নিয়ে আমরা ভ্রমণ শুরু করি। হাউজবোটের ওয়াশ রুমে গেলে একটি কাপড়ের টুকরো দেখতে পেলে তার সন্দেহ জাগে। কাপড়ের মধ্যে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় একটি গোপন ক্যামেরা।
হাউজবোটের ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ সোহেল আহমদ বলেন, আমি হাউজবোটে অনুপস্থিত ছিলাম কিন্তু জানার সাথে সাথে ঢাকা থেকে এসেছি। এই ঘটনাটি সত্যতা পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী পর্যটক বলেন, এটি নারী পর্যটকদের জন্য খুবই আপত্তিকর ও বিপদের। এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। তাহিরপুর উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান রনি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং স্পর্শকাতর বিধায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হবে।