প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৩ ঘন্টার বৈঠকের পরে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে আপাতত থাকবেন দেড় মাসের বিশ্রামে। ফিরবেন এশিয়া কাপের মাঠে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত শেষে সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেন, ‘আজ দুপুরবেলায় আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটয়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সাথে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড়মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমি যেন মানসিকভাবে আরেকটু ফ্রি হতে পারি।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাশেই উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিসিবি বস বলেন, ‘আমার একটা ধারনা হয়েছিল ওর (তামিমের) প্রেস কনফারেন্সটা দেখে, হয়তো আবেগ থেকে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। আমার একটা বিশ্বাস ছিল, ওর সঙ্গে যদি সামনাসামনি একবার বসতে পারি তাহলে হয়তো এটার একটা সমাধান পাবো। আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা সবাই ওর সঙ্গে বসেছিলাম এবং ও আপনাদের সামনেই বলে গেল, সে যে অবসরের চিঠিটা দিয়েছে সেটা সে প্রত্যাহার করছে। সে অবসর নেয় নাই।’
বিসিবি সভাপতি সংবাদকর্মীদের আরো বলেন ‘আজকে একটা চিঠি এসেছে কিন্তু শারীরিক ও মানসিকভাবে এখনো ফিট নয় তামিম, তাই সে দেড়মাস সময় নিয়েছে। এই দেড়মাসে পুনর্বাসন করে আশা করছি সে শিগগিরই আমাদের ক্রিকেটে ফিরে আসবে।’
একজন সংবাদকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, ‘অবশ্যই। এটা সবার জন্যই স্বস্তির। আমাদের অধিনায়কই যদি না থাকে আমরা খেলব কীভাবে!’
তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। তামিমের না থাকা দলে প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেন লিটন। তিনি বলেন, ‘উনি আগের ম্যাচে ছিলেন, এই ম্যাচে নেই। সামহাউ যদি ইনজুরি হতো আমরা কিন্তু উনাকে ছাড়াই খেলতাম। আমার কাছে মনে হয় না এরকম কিছু পরিবর্তন আসবে। আগের মতোই থাকবে সব কিছু।’
১৮ জুলাই সপরিবার দুবাই ভ্রমণে যাচ্ছেন তামিম।