সুইডেনে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে । ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে শহরের প্রধান সড়কে এই মিছিল প্রদক্ষিণ করে । মূলত ,ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে । আনুমাণিক পাঁচ হাজার অনুসারী এই মিছিলে অংশ নেন।
আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শহর জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক নেতা ও বগুড়া বার সমিতির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচ আইনজীবী মিছিলের অনুমতি নিতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান। তবে পুলিশ রাজনৈতিক পরিচয়ে অনুমতি না দিলে তারা ব্যানার ছাড়াই মিছিলের সিদ্ধান্ত নেন।
মিছিল শুরুর আগে শুক্রবার দুপুরে শহরের বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের সামনে এক সমাবেশ আয়োজিত হয়। এ সময় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি ও জেলা জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির আলমগীর হোসেন, জামায়াত ইসলামীর বগুড়া শহর শাখার আমির মো. আবিদুর রহমান সোহেল বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।
জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সুইডেন সরকারের সহায়তায় একজন ব্যক্তি নিজস্ব উদ্দীপনা নিয়ে আল্লাহর কোরআন পুড়িয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। আর যারা এদের উৎসাহিত করেছে তাদের প্রতিও নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানচ্ছি। বগুড়ার মানুষ ও ওলামা মাশায়েখ সর্বদা হকের পক্ষে ও বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করে।’
জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির আবিদুর রহমান সোহেল বলেন, ‘সুইডেনে ঈদুল আজহার দিনে একজন নাগরিক সরকারের সহযোগিতায় বাক স্বাধীনতার নামে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে অগ্নিসংযোগ করে বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের মনে আঘাত দিয়েছে। যুগে যুগেই ইসলাম বিরোধী শক্তি ইসলামকে অবনত করার চেষ্টা করেছে।
এ জন্য সুইডেন সরকারকে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানান আবিদুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে সুইডেন সরকারের সাথে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করারও দাবি উত্থাপন করেন।
পরে মিছিলটি বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ থেকে শুরু করে শহরের সদর থানা মোড় ঘুরে আবার সমাবেশ স্থলে ফিরে আসে। মিছিলের শেষভাগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি দল অবস্থান নেয়। তারা শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের মিছিল হয়নি। সাধারণ মুসল্লীরা মিছিল করেছেন। এ জন্য তাদের নিরাপত্তায় ও যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ নিয়োজিত ছিল ।