দুই দশক আগে ২০০২ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ইতিহাস’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালী পর্দায় অভিষেক হয়েছিল কালা বন্দুক খ্যাত অভিনেতা কাজী মারুফের। প্রথম ছবিতেই সেরা অভিনেতার পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। এরপর ৩৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মারুফ। তিনি সকল ছবিতে সবাইকে কালো রঙের বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখাতেন। পরের ছবিগুলো প্রথম ছবির মতো সফলতা না পাওয়ায় ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
এক সাক্ষাতকারে ঢাকাই ছবির প্রখ্যাত পরিচালক ও অভিনেতা কাজী হায়াতের ছেলে চিত্রনায়ক মারুফ বলেন, ‘একবার আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতালে আমার মেয়েকে এমনভাবে স্যালাইনের সিরিঞ্জ শরীরে প্রবেশ করানো হচ্ছিল, সেটি আমি দেখতে পারছিলাম না। সেই দৃশ্য দেখে চুপ হয়ে ছিলাম। তখন আমার চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই, এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাব। ’
সম্প্রতি দেশে ফিরে মারুফ আবারও অভিনয় শুরু করবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা কাজী হায়াত। তিনি বলেন, ‘মারুফের এবারের বাংলাদেশে আসাটা সিনেমার কাজের ব্যাপারে। আমাদের নতুন কয়েকটা কাজের কথা হয়েছে। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুটিং শুরু করব। এখনই সিনেমার বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’
‘দেহরক্ষী সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন। তবে ‘ইভটিজিং সিনেমায় তার কাশেম চরিত্রটি প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৪ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত তার সর্বনাশা ইয়াবা ছবিটিও ব্যবসা সফল হয়। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘অন্ধকার’, ‘অন্য মানুষ’, ‘ক্যাপ্টেন মারুফ’, ‘শ্রমিক নেতা’,‘ গরিবের ছেলে বড়লোকের মেয়ে’, ‘আইন বড় না সন্তান বড়’, ‘রাস্তার ছেলে’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’, ‘অশান্ত মন’, ‘আমার স্বপ্ন’, ‘মা আমার জান, ‘আমার মা আমার অহংকার’, ‘মায়ের জন্য মরতে পারি,‘ বড়লোকের দশ দিন গরিবের একদিন’, ‘বস্তির ছেলে কোটিপতি’, ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘এক টাকার ছেলে কোটি টাকার মেয়ে’, ‘অস্ত্র ছাড়ো কলম ধরো’, ‘ওয়ান্টেড’ অন্যতম।
কাজী মারুফ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার থেকে ‘ও লেভেল’ এবং মাস্টার মাইন্ড থেকে ‘এ লেভেল’ করেন এরপর লন্ডন স্কুল অব কমার্স থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতক সম্পন্ন করে আমেরিকায় নিজ ব্যবসায় বর্তমানে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত।