জেলায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আজ শনিবার সকাল ছয়টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি কমে সকাল নয়টায় পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বেলা ১২টায় বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলায় টেপাখড়িবাড়ি, পূর্বছাতনাই, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের ১৫ গ্রামে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে পানি কমতে শুরু করায় এসব গ্রাম থেকে পানি নেমে যায়।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন,‘পানি বাড়ার সঙ্গে আমার ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেশ^র গ্রামে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এসময় ওই দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মুখে ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে পানি কমতে শুরু করায় এসব মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, শনিবার উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যরাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি কমে সকাল নয়টায় পাঁচ সেন্টিমিটার এবং বেলা ১২টায় বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়। এর আগে গত শুক্রবার সারাদি ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও বেলা ১২টা থেকে বিপদসীমা বরাবর বইছে। পানি আরও কমে দুপুরের পর থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’